নোটবই-গাইড বই প্রকাশ ও পড়ানো এবং কোচিং সেন্টার পরিচালনা করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে শিক্ষা আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার।
কোচিং সেন্টার পরিচালনা করলে এমপিও (বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ) বাতিল এবং নোটবইয়ের জন্য অর্থদণ্ডসহ ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ওই আইনের খসড়ার ওপর মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উক্ত আইনের প্রেক্ষিতে কথা হচ্ছিল ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘মল্লিক ব্রাদার্স’ এর প্রধান নির্বাহী সহিদুল হাসান মল্লিক এর সাথে। তাঁর সাথে কথা বলে জানা গেল এই পেশার নানান দিক।
তিনি বললেন, প্রকাশকের হাতে টাকা না থাকলে প্রকাশক বই বের করতে পারবে না, লেখক সৃষ্টি হবে না। তিনি জানালেন বাংলাদেশে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের দিকপাল এবং বইমেলার প্রথম পরিকল্পনাকারী চিত্তরঞ্জন সাহাও পুঁথিঘর প্রকাশনায় গাইড বই প্রকাশ করতেন। সেখান থেকে উপার্জন করে মুক্তধারা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে সৃজনশীল বই বের করতেন।
কথা হচ্ছে, টাকাটা কোথাও না কোথাও থেকে আসতে হবে। সরকার তো আর টাকা দেবে না। গাইড বই শিক্ষার্থীরা কেন কেনে, কেন কোচিং করে, এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। শিক্ষকরা পড়ালে, স্কুলে সকল সুযোগ-সুবিধা পেলে শিক্ষার্থীরা গাইড বই কিনবে না, তাহলেই তো সমাধান হয়ে যায়।
শিক্ষকরা কেন শিক্ষার্থীদের গাইড বই কিনতে বলবে, তাঁরা মূল বই ধরে ধরে ভালো করে পড়াক, সরকার এই বিষয়ে নজর দিক। বাজারে চাহিদা না থাকলে গাইড বই কেউ আর বের করবে না। কিন্তু তাই বলে সরকার তো কাউকে কোনো ব্যবসা পরিচালনায় বাধা দিতে পারে না। সরকার ভালো বই, ভুলমুক্ত বই প্রকাশের উপর জোর দিক।