সমকামিতা কোন দেশে স্বীকৃত কোন স্বীকৃত নয়। ধর্মগুরু এবং অনেক তাত্ত্বিকেরা দাবী করেন, সমকামিতা প্রকৃতির স্বীকৃত নয়। বিজ্ঞানীদের মতে জিনগত ত্র“টি বা বৈশিষ্টের কারণে কোন প্রাণী, বিশেষ করে মানুষ সমকামী হয়ে থাকে। তবে ধর্মগুরুরা সমকামিতাকে পাপ (sin against nature) বলে অবিহিত করে থাকেন। আধুনিক বিজ্ঞান তাদের দাবীর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে না। বিষয়টি যে প্রাকৃতিক তার সবচে বড় প্রমাণ হচ্ছে, প্রাণী জগতের অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও সমকামিতা রয়েছে। এসব প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বৈশিষ্টটি প্রকাশ পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, পনেরশোর বেশী প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে সমকামিতা রয়েছে, এর মধ্যে পাঁচশোর মত প্রজাতি রয়েছে যাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি স্পষ্টভাবে ধারণ করা গেছে। দেখা গেছে, যেসব প্রাণী অপেক্ষাকৃত বেশী সামাজিক এবং মানুষের কাছাকাছি বৈশিষ্টের তাদের মধ্যে সমকামিতার বিষয়টি বেশী স্পষ্ট। অমানুষ প্রানিদের মধ্যে জিরাফে সমকামিতার হার সবচে বেশী। কালো হাঁসদের (Black Swans, Cygnus atratus) চার ভাগের এক ভাগই সমকামী। বানর, হনুমান, শিয়াল, কুকুর, হাতি, বেবুন -এরকম অনেক প্রাণীদের মধ্যে সমকামিতা রয়েছে। বিছানার ছারপোকারাও (bed bugs: Cimex lectularius) কিন্তু সমকামী। ছারপোকারা যৌন বিনোদোন লাভ করে সমকামীতার মাধ্যমে, তবে বংশ বিস্তারের জন্য পুরুষ ছারপোকা নারী ছারপোকার পেট দিয়ে সিমেন ঢুকিয়ে নিষিক্ত করে দেয়।