গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার সাথে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় হাসনাত করিমের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলেই তাকে সন্দেহভাজন আসামি থেকে সরাসরি গুলশানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ‘গুলশান হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের জড়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।’
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনায় কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর তাকে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার যখন প্রমাণ পাই তখন আমরা তাকে গ্রেফতার দেখাই।
৪ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পর ৮ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার গুলশান হামলার মামলায় হাসনাতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে ফের ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি বেশ ক’জনকে জিম্মি করে অস্ত্রধারীরা। পরদিন সকালে সেনা কম্যান্ডো অভিযানে শেষ হয় জিম্মি দশা। তবে তার আগেই অস্ত্রধারীরা হত্যা করে ১৭ বিদেশিশহ ২০ জনকে। অভিযানে নিহত হন ছয় জঙ্গিও। আর ১ জুলাই রাতেই প্রাথমিক প্রতিরোধে নিহত হন ঊর্ধ্বতন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই হামলার পর জীবিত জিম্মিদের সাথে বের হওয়া হাসনাত করিমের আচরন নিয়ে সন্দেহ দেখে দেয়। পাশের ভবন থেকে এক কোরিয়ান নাগরিকের ভিডিওতে হাসনাতকে জঙ্গিদের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। সম্প্রতি রেস্তুরর ছাদের উপর হাসনাত ও তাহমিদের আরো দুটি ছবি বের হয় যেখানে তাহমিদকে অস্ত্র হাতে ও হাসনাতকে আয়েশি ভঙ্গিতে নিহত জঙ্গি রোহানের সাথে আলাপরত অবস্থায় দেখা যায়।
তবে হাসনাতকে গুলশান হামলায় গ্রেপ্তার দেখালেও তাহমিদকে এখনো ৫৪ ধারায় আটক রেখে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।