কবির সাহেব সহসাই মসজিদের সামনের সারি থেকে পেছনের সারিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রথম সারিতে অবস্থানরত মুসল্লিরা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু তিনি কোনোভাবেই আর প্রথম সারিতে থাকতে চাচ্ছেন না। ঘটনা হচ্ছে সেদিন মসজিদে কবির সাহেব অনেক আগেই গিয়ে সামনের সারিতে বসেছেন। উনি নিত্য দিনই এটাই করেন। কিন্তু হঠাৎ পাশ থেকে বশির সাহেব রেগেমেগে আগুন। তিনি যারপরনাই জ্বলে উঠলেন। বলতে আরম্ভ করলেন কেন তিনি সামনের সারিতে বসতে পারছেন না। তিনি মসজিদের জন্য এত কিছু করছেন আর সেই তিনিই কিনা আজ! অবস্থার এক পর্যায়ে কবির সাহেব ও বশির সাহেবের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
কবির সাহেব : আপনার অনেক বাড়াবাড়ি দেখেছি।
বশির সাহেব : তুমি কী বল মিঞা?
কবির সাহেব : হাঁ, ঠিক তো বলছি।
বশির সাহেব : কথা কিন্তু মাপজোখ করে বল।
এ রকম যখন অবস্থা ঠিক তখনই কবির সাহেব সামনের সারি হতে পেছনের সারিতে যাচ্ছিলেন।
তখন কয়েকজন কবির সাহেবকে নিয়ে এসে সামনের সারিতে বসায়। কিছুক্ষণ পর আবার কবির সাহেব ও বশির সাহেবের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে থাকে। ঠিক তখনই মসজিদের মধ্যে কতিপয় যুবক দল উচ্চৈঃস্বরে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে আরম্ভ করে। ওদিকে যুবক আসগর স্বপ্নে দেখেছে মসজিদ আল্লাহর ঘর। এ ঘরে জোরে কথা বলতে নেই। এ ঘরে যে আগে আসবে সে আগে বসবে। কে আমির, কে ফকির এ ঘরে সে ভেদাভেদ থাকা ঠিক নয়।