মতামত: ‘অপচিকিৎসা’ এবং ডাক্তারের অবহেলায় না ফেরার দেশে অধ্যক্ষ স্বপন চক্রবর্তী

follow-upnews
0 0

যেসব কারণে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার চক্রবর্তীকে অকালে চলে যেতে হলো:

অধ্যাপক স্বপন কুমার চক্রবর্তী
প্রয়াত অধ্যাপক স্বপন কুমার চক্রবর্তী

১) ঢাকার সবচেয়ে সন্নিকটে দেশের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র ও বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জে কোনো ‍উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।

২) নারায়গঞ্জের যে-ক্লিনিকে স্বপন চক্রবর্তী’র মৃত্যু হয়, সেই ‘ইসলাম হার্ট সেন্টার’ নামে মাত্র হার্ট সেন্টার, কাজের বেলায় হৃদরোগের কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা সেখানে নেই, এমনকি সেখানে নেই কোনো মানসম্পন্ন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ)।

৩) ইসলাম হার্ট সেন্টারের মালিক ডা.নুরুল ইসলামের ক্লিনিক এবং বাসা একই ভবনে হওয়া সত্ত্বেও স্বপন চক্রবর্তীকে সেখানে ভর্তি করানোর পর সার্বক্ষণিকভাবে ঐ ডাক্তার রোগীর পাশে ছিলেন না।

৪) প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ বোধ করলে পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবরা রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর করতে চাইলে ডা: ইসলাম তাতে বাধ সাধেন। তরুণ এবং একেবারে অনভিজ্ঞ এক ব্যক্তিকে (ডাক্তার অথবা ব্রাদার হতে পারে) রোগীর দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে তিনি উপরে বাসায় চলে যান।

৫) প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগী নিজেও বলেছেন যে তিনি সুস্থবোধ করছেন।

৬) এ সময হঠাৎ করে অনভিজ্ঞ ঔ ব্যক্তি একটা ইনজেকশান পুশ করার পর রোগীর অবস্থা অবনতি ঘটতে শুরু করে।

৭) অবস্থা বেগতিক দেখে ডা: ইসলাম রোগীকে তখন ঢাকায় স্থানান্তরের কথা বলেন।

৮) রোগীর অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকার কারণে তখন আর ঢাকায় স্থানান্তরের সময় ছিল না।

৯) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নারায়ণগঞ্জের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ জীবন কানাই চক্রবর্তীর দ্বিতীয় পুত্র, সর্বজনপ্রিয় ‘স্বপন স্যার’ এবং নারায়ণগঞ্জ কলেজের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার চক্রবর্তী।

১০) লন্ডনে বসবাসরত অভিজ্ঞ চিকিৎসক স্বপন কুমার চক্রবর্তীর বড়ভাই ডা: তপন কুমার চক্রবর্তী তাঁর অনুজের মৃত্যু খবর জানতে পেরে মন্তব্য করেছেন- “ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।” উল্লেখ্য, স্বপন চক্রবর্তীকে ক্লিনিকে ভর্তি করানোর পর ডা: চক্রবর্তী লন্ডন থেকে ফোন করে বারবার ডা: ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি পাত্তা দেননি, ফোন ধরেননি।


বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী

মি. অধিকারী ঢাকা

১৯৫৬ সালে বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পরিসংখ্যানে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

মু্ক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র অংশগ্রহণকারী বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী পেশায় তথ্যপ্রযু্ক্তিবিদ। তিনি অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও ব্লগার এবং পত্রপত্রিকায় প্রগতিশীল, ‍মুক্তচিন্তা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখালেখি করেন।

পেশাগত জীবনে তিনি আইসিডিডিআর,বি, অ্যাকটেল, ওরাকল এবং বাংলাদেশ কম্পউটার সমিতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানি ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বাংলাদেশ ও ভূটানে একমাত্র পরিবেশক অফিস এক্সট্র্যাক্টস-এর নির্বাহী পরিচালক।

Next Post

গণহত্যার স্মৃতিচারণ: শহীদ সন্তান চক্রপাণি দে ‘র সাক্ষাৎকার

চক্রপাণি দে পিতা: শহীদ ড. হরিনাথ দে ঠিকানা: ৪৩, মালাকারটোলা লেন, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০। সাক্ষাৎকার গ্রহণরে স্থান: নিজ বাড়ি, তারিখ: ২১/০৬/২০১৭ চক্রপাণি দে ড. হরিনাথ দে ’র কনিষ্ট সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ১২ বছর। পিতা ড. হরিনাথ দে এবং মালাকারটোলা গণহত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার বাবা মনেপ্রাণে একজন বিজ্ঞানী […]
চক্রপাণী দে ড. হরিনাথ দের কনিষ্ট পুত্র