আসলেই কি এসব কোটিপতিরা দুর্নীতির ক্ষেত্রে ধর্ম ব্যবহার করেছেন? আপনি কি এই লেখকের সাথে একমত?

এইসব কোটিপতি

এইসব কোটিপতি


আমি একবার স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ‘কপালে নামাজের দাগ বেশি পড়ে সরকারী চাকরিজীবীদের।’ এখন মিলিয়ে নিন। 
এরা প্রত্যেকেই এলাকায় মাদ্রাসা করেছে মসজিদ করেছে। বড় দানবীর হিসেবেই এরা পরিচিত। আমি একজনকে চিনি পাসপোর্ট অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর মোতালেব হোসেন। তার শালি আমাকে বলেছে সেই মোতালেব মাসে মাত্র পঁচাত্তর লাখ টাকা ঘুষ খায়। এলাকয় সে দুটি মসজিদে ফুল এসি করে দিয়েছে, এতিম খানা করেছে। নামে বেনামে সে অনেক বাড়ি ফ্লাট ইত্যাদি করেছে, শশুর বাড়ির সবার নামে ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা রেখেছে (কিন্তু চেক তার কাছে, সাইন করা)। বিনিময়ে সে রোহিঙ্গাদের অবৈধ ভাবে পাসপোর্ট করে দিয়েছে।

আমি যখন এসব নিয়ে কথা বলি তখন আমার কাছের মানুষজন কেন জানিনা কষ্ট পান। তারা বলে আমি সারাক্ষণ ইসলামের পিছনে লেগে থাকি। ভাই আসলে বিষয়টা তা না। বরং আপনারা যারা এসব দেখেও কিছু বলেন না তারাই ইসলামের ক্ষতি করছেন। এই যে মানুষগুলো ইসলামি পোষাক ব্যাবহার করে ঘুষ খেয়ে কোটি কোটি টাকা কামাই করে তা দিয়ে মসজিদ করছে সেই মসজিদের নামাজ কি আল্লাহ ক্ববুল করবে? প্রশ্নটা আমার সেই সকল শুভাকাঙ্খিদের কাছে যারা আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী মনে করে। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা আমার শুভাকাঙ্খিদের জন্য।

রাসেল খানও ফেসবুকে প্রায় একই ধরনের মতামত প্রকাশ করতে চেয়েছেন।

তারা কোটিপতি

ফেসবুকে দেওয়া এই বক্তব্যগুলোর সাথে আপনি কি একমত?