নিষ্ঠুরতার কোন সমীকরণই যেন এখানে খাপ খায় না। সিরিয়াল কিলারদের গল্প অনেকে শুনেছেন, তাও এখানে হার মেনেছে অনেক আগে। পূর্বে ঘটা নিষ্ঠুরতাকে হার মানাতে নতুন খবর আসছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের কোন এক প্রান্ত থেকে। জনসমক্ষে বেঁধে পিটিয়ে রাজন হত্যা, এয়ার কম্প্রেসারের বাতাস ঢুকিয়ে শিশু শ্রমিক রাকীব হত্যা…
চারিদিকে শিশু নির্যাতন, শিশু হত্যার মিছিল। দিনে দিনে বন মানুষের চারণভূমি হয়ে উঠেছে যেন এ দেশ! ভাবা যায়- পারিবারিক শত্রুতায় জের ধরে চার শিশু হত্যা? ভাবা যায়- গায়ে আগুন নিয়ে কেউ দৌঁড়াচ্ছে, বাঁচার আঁকুতি জানাচ্ছে, কিন্তু কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসছে না? ভাবা যায়? ভাবা যায়? এর চেয়েও ভয়ঙ্কর মা হত্যা করছে নিজের সন্তান। নিশ্চিতভাবে সভ্যাতার উল্টোরথে আমরা। প্রশ্ন হচ্ছে- কত দ্রুত পিচচ্ছি?
আধুনিক সভ্যতার সবচে’ বেশি দাবী করে সংবেদনশীল মানুষ। কোথায় সেই সংবেদনশীল মানুষ? কোথায় দৃশ্যমান প্রতিবাদ? কোথায় কার্যকর প্রতিবাদ?
যেখানে একটা মাছি মারতেও মানুষের হাত কাঁপার কথা সেখানে মানুষ হত্যার মহোৎসব, নির্বিকারে নিষ্পাপ শিশু হত্যা! ভয় হয় আরো বেশি যখন দেখি আমাদের প্রাত্যহীক জীবন ঠিকই চলছে, পিছন ফিরে তাকানোর প্রয়োজন অনুভব করছি না, তখন স্পষ্টতই এ খুনের দায়, নিষ্ঠুরতার দায় আমারও, বন্ধু, তোমারও।
চার্লস ল্যাম্ব খেলার ছলে একটি মাছি মেরে ফেলায় ক্ষোভ ব্যাক্ত করে নিচের কবিতাটি লিখেছিলেন। আমাদের যে শিশু হত্যা করা খেলায় পরিণত হয়েছে!!
Thoughtless Cruelty