কেমন হলো ঢাবির নিয়োগ? অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের কুইক ইনভেস্টিগেশন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি কয়েক ঘণ্টা আগে। পরে জানলাম আরো দুই প্রোভিসি নিয়োগের কথা। তাই এই তিন নিয়োগ নিয়ে আমার মূল্যায়ন হাজির করবো। তথ্যগত ত্রুটি থাকলে শুধরে দেবেন। তিনজনের দুইজনকেই আমি চিনতাম না আগে থেকে, তবে একটা কুইক রিসার্চ করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ।

 

 

 

 

ক। ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানঃ তিনি মার্কামারা কোনো নীল-সাদা করেন না। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের। ভালো একাডেমিক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার ভূমিকার কথা খুব বেশি শোনা যায়নি, তবে আইইউবির আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রেখেছেন। তার এফিলিয়েশন ও গতিবিধি অনুযায়ী আগেই বলেছি, তার মধ্যে একটা আইএনজিও ক্যারেক্টার আছে, পাবলিক ক্যারেক্টার নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে তার জীবন আবর্তিত হয়নি। এস এম হলের গণরুমের ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্টের বেদনা তিনি কতটুকু বুঝবেন, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ জারি রাখলাম। সময় বলে দেবে। জন্মস্থান চট্টগ্রাম।

খ। প্রোভিসি প্রশাসনঃ ড. সায়মা হক বিদিশাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। অর্থনীতির অধ্যাপক, ভালো একাডেমিক। শিক্ষক রাজনীতির কোনো দলে সক্রিয় ছিলেন না। সজ্জন, ভদ্রমানুষ। শিক্ষা-উপদেষ্টার ছাত্রী। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষক নেটওয়ার্ক আয়োজিত কিছু প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে তিনি হাজির ছিলেন, যদিও নেটওয়ার্কের সক্রিয় সদস্য নন। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পরিবার কুষ্টিয়ার।

গ। প্রোভিসি একাডেমিকঃ ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। ফলিত রসায়নের অধ্যাপক। ভালো একাডেমিক। সাদা দলের সাথে যুক্ত। তবে তিনি বিএনপি নন, জামাতপন্থী। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন জমে ওঠার প্রাক্কালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। ফলে আন্দোলনে কোনো ভূমিকা নেই। জন্মস্থান চট্টগ্রাম।

কয়েকটি সমীকরণঃ
১। সবাই ভালো একাডেমিক/শিক্ষক
১। চট্টগ্রাম বায়াস
২। যারা নিয়োগ পেলেন আন্দোলনে হয় কিঞ্চিৎ ভূমিকা বা কোনো ভূমিকাই নেই।
৩। ঢাবিতে নিয়োগ বোর্ডের প্রধান হন প্রোভিসি একাডেমিক, ফলে সামনের নিয়োগগুলোয় দলীয় বায়াস কাজ করতে পারে।

বুঝতেই পারছেন, ১ নম্বর ছাড়া, বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অসন্তুষ্ট।

ফাহমিদুল হক
২৬শে আগস্ট ২০২৪