১। যেই দেশের প্রধান ক্ষমতায় মহিলা বসায়ে, সেই দেশে আল্লাহর রহমত নাই। চিল্লায়ে বলেন ঠিক কিনা? শেখ হাসিনা পুরুষ না মহিলা? তার আগে যিনি ছিলেন তিনিও মহিলা। আমরা চাই না আপনারা আর ক্ষমতায় থাকেন।
২। এখন সময় একে ফর্টি সেভেনের, গ্রেনেড বা ড্রোন দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
৩। ঘরে ঘরে আল্লামা সাইদী দাও। এক মুফাসসির জেলে বন্দী তো লাখো মুফাসসির ঘরে ঘরে। এই দেশে আর এমন বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসির আসবে না। যেই মুফাসসিরের জন্য মানুষ রক্ত দেয়।
৪। এই দেশে আদালত আছে, না নাই? কিন্তু সঠিক রায় কি আছে? আপনি হক কথা বললেই আপনাকে জেলখানায় ভরবে।
আদালত অবমাননা, সাইদীর মুক্তি ও তার জন্য আক্ষেপ করা, একে ফর্টিসেভেন নিয়ে জিহাদের ডাক দেওয়া বা প্রধানমন্ত্রীকে মহিলা বলে বৈষম্যের আলোচনা উনি আর করবেন না অদূর ভবিষ্যতে। আযহারীর এইসব অভিযোগগুলো কাদের বিরুদ্ধে? অবশ্যই আওয়ামিলীগ সরকারের বিরুদ্ধে— ঠিক কিনা বলেন চিল্লাইয়া?
যেই আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে বয়ান করে আজ উনি ডক্টর আযহারী সেই আওয়ামিলীগের মন্ত্রী-এম্পির হোস্ট করা প্রোগ্রামে লাখো মুসল্লীর জমায়েতে আপনি বক্তব্য দেন। উনি কীভাবে আওয়ামী হোস্টের বিরুদ্ধে কথা বলবেন?
আযহারীকে খুব সহসাই তারেক মনোয়ারকে নিয়েও কথা বলতে শুনবেন না। তার সাথে প্রকাশ্যে সাক্ষাৎও দিবেন না আযহারী। তারেক মনোয়ারের পক্ষে তো বলবেনই না।
তারেক মনোয়ার ভালো কি ভণ্ড এই ব্যাপারে আযহারীর স্পষ্ট বক্তব্য খুবই এক্সপেক্টেড ছিল। এক যুগ পরে উনাদের আবেগঘন আলিঙ্গনের পরে সেটি অত্যাবশ্যক ছিল। কিছুই বললেন না আযহারী। আমার ধারণা সেই পথে উনি হাঁটবেনও না। বিতর্কের পরে তারেক মনোয়ারকে নিয়ে উনার বক্তব্য দিলে খুবই খুশী হতাম।
জীবনে চলার পথে স্ট্র্যাটেজি ফলো করাটা খুবই জরুরি। আমরা সবাই তা করি। ডক্টর আযহারীও করেন। কেননা উনিও আমাদের মতোই স্বার্থপর স্বাভাবিক মানুষ।