মীর কাশেমের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিন ।। শাহরিয়ার কবির

সর্বশেষ ছিল গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা। তারা প্রতি মুহূর্তে আশা করেছিল একটা মিরাকল ঘটবে। অলৌকিক এমন কিছু ঘটবে শেখ হাসিনা সরকারের। যেভাবে তারা পার পেয়ে গিয়েছিল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হতাকাণ্ড ঘটিয়ে। সব সংশয়ের, উত্কণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গোটা জাতি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ছয়জন শীর্ষস্থানীয় গণহত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল মীর কাসেম আলীর মামলা। এর প্রধান কারণ ছিল মীর কাসেমের বিশাল বিত্তবৈভব। এই অর্থ-সাম্রাজ্য তিনি ৩৫ বছর ধরে গড়ে তুলেছেন, তাঁর খেলা আমরা দেখেছি। কাসেম আলী ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেছেন যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রক্রিয়াকে বানচাল, একই সঙ্গে সরকার উত্খাতের জন্য। এ ছাড়া মামলা চলাকালে অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানো আমরা গত কয়েক বছরে দেখেছি। সর্বশেষ ছিল গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা। তারা প্রতি মুহূর্তে আশা করেছিল একটা মিরাকল ঘটবে। অলৌকিক এমন কিছু ঘটবে শেখ হাসিনা সরকারের। যেভাবে তারা পার পেয়ে গিয়েছিল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হতাকাণ্ড ঘটিয়ে। সব সংশয়ের, উত্কণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গোটা জাতি। শহীদ পরিবারের জন্য নিঃসন্দেহে তা আনন্দের সংবাদ। তবে আমাদের উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, মীর কাসেমের

ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর টাকার খেলা তো শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কারণ তিনি যে পারিবারিক ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী রেখে যাচ্ছেন এবং তাঁদের যে দম্ভোক্তি আমরা দেখছি ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। আমরা সরকারকে বারবার বলেছি, গণহত্যাকারীদের দণ্ড কার্যকর করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের পরিবার ও নির্যাতিত নারীদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। আমরা আমাদের পরিষ্কার যুক্তি দিয়েছি, তাঁরা শুধু ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি পাচ্ছেন। তাঁদের গণহত্যার শিকার পরিবারগুলোর বিগত ৪৫ বছরের অপরিসীম দারিদ্র্য, তারা যে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছে, সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারেনি, দুই বেলা খেতে দিতে পারেনি, এর তো কোনো বিচার হয়নি। গণহত্যার ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ অভিনব কোনো দাবি নয়। গত বছর পর্যন্ত জার্মানি হলোকাস্ট ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। জাপান সরকারও গত বছর সম্মত হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সৈন্যদের হাতে যেসব নারী নির্যাতিত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭০ বছর পর যদি জাপান ও জার্মানি ক্ষতিপূরণ দিতে পারে, আমরা কেন গণহত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেব না? আমাদের দুটি দাবি স্পষ্ট : যুদ্ধাপরাধীদের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শহীদ ও নির্যাতিত নারীদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। আরেকটি হচ্ছে পাকিস্তানিদেরও বিচারের আওতায় আনা এবং ক্ষতিপূরণ আদায় করা। গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে বাধ্য করতে হবে। এ পর্ব আমাদের এখনো বাকি রয়ে গেছে। আমরা ট্রাইব্যুনালে পাকিস্তানিদের বিচার শুরু করিনি। এটা করতে হবে। আরেকটি জরুরি বিষয়, সরকারি হিসাবে মীর কাসেম আলীর সম্পদের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা। বেনামে দেশে-বিদেশে তার বহুগুণ বেশি সম্পদ রয়েছে। উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন করে প্রয়োজনে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ভাড়া করে সম্পদের সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। জানতে হবে সুইস ব্যাংক থেকে শুরু করে কোথায় কোথায় সম্পদ বিনিয়োগ বা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এই অর্থ মীর কাসেমরা সব সময় ব্যয় করেছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, নির্বাচিত সরকার উত্খাত ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্রে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন তো এখান থেকেই হয়েছে। বহুবার আমরা বলেছি, হিসাব দিয়েছি, ব্যাংকে কোন কোন জঙ্গি সংগঠনের অ্যাকাউন্ট ছিল। এসব অর্থ বাজেয়াপ্তের লক্ষ্যে কমিশন গঠনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনও করতে হবে। ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি রায়ে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পক্ষে। যেহেতু সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পক্ষে আমাদের কোনো আইন নেই, সে আইন আগে করা দরকার।

আমরাও এ ব্যাপারে কয়েকবার সরকারকে বলেছি। সর্বশেষ গত জানুয়ারি মাসে আমরা আইনমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদের আশ্বাসও দিয়েছেন যে সরকার এ রকম একটি আইন করবে। আমরা মনে করি, আইনটি খুব জরুরি। তা না হলে এই যে টাকার পাহাড় রেখে যাচ্ছেন মীর কাসেম আলীরা, তার সুযোগ নিয়ে টাকার খেলা চলতে থাকবে। তাঁরা আমাদের সমাজ ও রাজনীতিকে কলুষিত করবেন। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন তাঁদের অব্যাহত থাকবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলব। আজকেই খবরের কাগজে আছে, মীর কাসেম নিজেকে শহীদ দাবি করেছেন, তাঁর পরিবারও বলছে তিনি শহীদ। জামায়াতিদের খবরের কাগজে, গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, মীর কাসেম শহীদ। মীর কাসেমরা যদি শহীদ হন, তাহলে আমাদের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে, আমাদের বলতে হবে, ৩০ লাখ শহীদ না, বরং ৩০ লাখ দুষ্কৃতকারীর জীবনের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ নামের স্বাধীন দেশ পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকারের এসব বিষয় তুলে ধরে দুই বছর ধরে আমরা সরকারকে বলে আসছি। আমরা দাবি জানিয়ে আসছি মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকারবিষয়ক আইন প্রণয়ন করতে—যার শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে নাগরিকত্ব বাতিল। আপনারা স্বাধীন বাংলাদেশে বসে গণহত্যাকারীদের শহীদ বলবেন। তাহলে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা দুষ্কৃতকারী! এমনটা চলতে পারে না। গণহত্যাকারীরা সন্দেহাতীতভাবে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে, দণ্ড পেয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষসহ আমরা বলে আসছি গণহত্যাকারীদের জন্য আলাদা কবরস্থান করা হোক। এখানে পারিবারিক কবরস্থানে কবর দেওয়া হচ্ছে এবং নামফলকে লেখা হচ্ছে ‘শহীদ কাদের মোল্লা’ কিংবা ‘শহীদ মীর কাসেম আলী’—স্বাধীন বাংলাদেশে এটা হতে পারে না। এই দ্বিমুখিতার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সরকার যদি নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের সরকার হিসেবে দাবি করে, তাদের নিশ্চিত করতে হবে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকারকারীদের কোনো ঠাঁই নেই। আপনারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করবেন, শহীদদের দুষ্কৃতকারী সাব্যস্ত করবেন? আমি দুঃখিত। আপনাদের জায়গা পাকিস্তানে। বাংলাদেশ আপনাদের না। তাই সরকারকে দ্রুত এ-সংক্রান্ত আইন করতে হবে।

আর এই যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনায় তাঁর সফর বাতিল করলেন, এত স্পর্ধা তাঁরা কোথায় পান? পাকিস্তানের ব্যাপারে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। পাকিস্তান ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া দূরের কথা, গণহত্যা পরিচালনা করার কথা এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি। পাকিস্তানকে গণহত্যার কথা স্বীকারে ও ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য করতে হবে। ন্যুরেমবার্গের বিচারে মিত্রশক্তি ক্ষতিপূরণ দানে জার্মানিকে বাধ্য করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭০ বছর পর এখন পর্যন্ত জার্মানি ক্ষতিপূরণ দিয়ে যাচ্ছে। আমরা কেন পাকিস্তানিদের ক্ষতিপূরণ দানে বাধ্য করব না? এর আগেও আমাদের কোনো সরকার পাকিস্তানের কাছে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করেনি। কিন্তু ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ২৪ বছর ধরে সরকারকে বলছে, পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে। তা না হলে তো আমরা গণহত্যার ভিকটিমদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারব না। এখন তারা আংশিক বিচার পাচ্ছে।

আরেকটি জরুরি বিষয় হচ্ছে, সংগঠনের বিচার করার কাজে সরকার কেন কালক্ষেপণ করছে? একাত্তরে মীর কাসেমরা যেসব ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে তো করেননি! দলের সিদ্ধান্ত ছিল, রাজনীতি ছিল। সে অনুসারেই তাঁরা গণহত্যা চালিয়েছেন। তাঁদের একটা দর্শন রয়েছে, যাকে আমরা মওদুদীবাদ বলি। এই মওদুদীবাদ গণহত্যাসহ যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধকে ইসলামের নামে বৈধতা দেয়। তারা এই যে মীর কাসেমকে শহীদ বলছে, এ তো মওদুদীবাদী রাজনীতি। হলি আর্টিজান কিংবা কল্যাণপুরের ঘটনায় আমরা দেখেছি, সন্ত্রাসীরা বলছে তারা শহীদ হচ্ছে এবং বেহেশতে যাচ্ছে। তারা শহীদ হওয়ার জন্য এসব করছে। এ তো শাহাদাতের ভাবনা হতে পারে না। প্রকৃত ইসলামে যারা বিশ্বাস করে তারা জানে একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করলে কেয়ামতের পর শাস্তি পেতে হবে। মীর কাসেম ও তাঁর পরিবারের উচিত ছিল জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। জাতি ক্ষমা করলে এর পরে আসছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন। বিষয়টি সাধারণ মানুষকেও বুঝতে হবে। এ জন্যই আমরা বলছি, মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত ইতিহাস অস্বীকার করার দণ্ড বিধানে শক্ত আইন করতে হবে।

এ ছাড়া গণহত্যার বিচার লাভে বঞ্চিত অনেক জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। গত শতাব্দীতে গণহত্যার ঘটনার ৯০ শতাংশেরই কোনো বিচার হয়নি। কারণ যুদ্ধাপরাধের বিচার করা অত্যন্ত কঠিন ও ব্যয়বহুল এবং বেশির ভাগ গণহত্যার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব জড়িত। কিন্তু বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে সীমিত সম্পদ নিয়ে, দেশীয় আইন ও বিচারব্যবস্থার মধ্যে থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘটনার বিচার করা যায়। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করতে পারি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে। এমন মানসম্মত বিচার আর কোথাও দেখা যায়নি। যেকোনো বিচারে উভয় পক্ষ তথা আসামিদেরও সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়। বাংলাদেশের এই বিচারপ্রক্রিয়ায় বিবাদীকে অনেক বেশি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেদিক থেকে আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে অসাধারণ একটা মান অর্জন করেছে, দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও যে এই বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা আমাদের সরকারকে বুঝতে হবে। এ ছাড়া যত দ্রুত সম্ভব ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে বাকি স্থানীয় সব যুদ্ধাপরাধীসহ পাকিস্তানি শীর্ষস্থানীয় গণহত্যাকারী এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলো, যেমন জামায়াত, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি—সবার বিচার সম্পন্ন করতে হবে। কারণ শহীদ পরিবারের সদস্যরা আপনজনের হত্যার বিচার না দেখে মারা যাচ্ছেন, অন্যদিকে গণহত্যাকারীরাও মারা যাচ্ছেন। তাই শহীদ পরিবারগুলোর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাইলে দ্রুত বিচার শেষ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়াতে হবে, দক্ষতা বাড়াতে হবে, রসদও বাড়াতে হবে। সাক্ষ্যদাতাদের নিরাপত্তাসহ যেসব ঘাটতি রয়েছে সেগুলো দ্রুত পূরণ করতে হবে। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য, সভ্যতার জন্য এ বিচার শেষ হতে হবে।


লেখক: একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি (অনুলিখন)

# লেখাটি দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সৌজন্যে প্রাপ্ত।