Headlines

শিক্ষিত-প্রতিষ্ঠিত পুরুষের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষিত-প্রতিষ্ঠিত নারীরা কি বেশি ভোগবাদী?

আমার চেনা মহল থেকে একশো জন শিক্ষিত পুরুষ এবং একশো জন শিক্ষিত নারী বেছে নিয়ে একটি তুলনামূলক ফিচার দাঁড় করাতে চাচ্ছি। প্রধানত ফেসবুক থেকে আমি এই নারী-পুরুষ বেছে নিয়েছি। র‌্যানডমলি বাছাই করেছি, তাই পক্ষপাতের কোনো সুযোগ নেই। 

বর্ণনামূলক এই ফিচারটি দাঁড় করাতে গিয়ে আমি নিজের মাঝে নারীবাদ বা নারী বিদ্বেষ কোনোটিকেই প্রশ্রয় দেয়নি, যাতে অনুমানটি নিরপেক্ষ থাকে। যেহেতু এই সকল নারী পুরুষ আমি বেছে নিয়েছি আমার চেনা মহল থেকে, তাই শুধু তাদের ফেসবুক পোস্টের ওপর নির্ভর করে অনুমানটি দাঁড় করাচ্ছি এটা ভাবলে ভুল হবে, কাজটিকে অধিকতর সুক্ষ্ম করার জন্য তাদের বিচরণের ক্ষেত্রটাকে আমি চিহ্নিত করার সুযোগ পাচ্ছি স্বচক্ষে দেখা থেকেও, কারণ, এই সকল বেশিরভাগ নারী পুরুষ আমার চেনা মহলের, সেভাবেই আমি বাছাইটা করেছি।

প্রথমত আমি যে জিনিসটা পেয়েছি— যেহেতু এইসব নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার চেয়ে যোগ্য কোনো পুরুষকে বিয়ে করেছে, ফলে ভোগ উপভোগের সুযোগ তার ক্ষেত্রে খানিকটা বেড়েছে, এবং যেহেতু সে তার পরিবার ছেড়ে এসেছে, এবং বর্তমানে স্বামী এবং নিজের চাকরির কারণে শশুর বাড়িতেও থাকতে হচ্ছে না, তাই দায়িত্বের ক্ষেত্রটা তার কমেছে।

অপরদিকে যে পুরুষদের ডাটা হিসেবে এক্ষেত্রে নিয়েছি, তাদের অন্তত অর্ধেক বিয়ে করেছে তার চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন নারী, মাত্র দুই ভাগ পুরুষ বিয়ে করেছে তার চেয়ে অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন নারী, ফলে এক্ষেত্রে বিয়ের পরে পুরুষটির ভোগ উপভোগের ক্ষেত্র কমেছে, পক্ষান্তরে দায়-দায়িত্ব বেড়েছে। 

আরেকটি বিষয় স্পষ্ট করে পেয়েছি—

পুরুষের তুলনায় এই নারীরা ফেসবুকে নিজের ছবি বেশি আপলোড করে, ঘুরে বেড়ানোর ছবি বেশি আপলোড করে। তুলনা করে দেখা গেছে কোনো মানবিক বিষয় বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পুরুষের তুলনায় তারা মতামত দিয়েছে কম, যদিও সমাজে এরা সমান শিক্ষিত এবং গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ শিক্ষিত পুরুষের তুলনায় শিক্ষিত নারীরা সামাজিক কোনো বিষয়ে কম দায়-দায়িত্ব অনুভব করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সর্বশেষ প্রত্যক্ষ করেছি—

ভোগবাদী পুরুষ সচারচর বিনোদন এবং বিজয় লাভের চেষ্টা করে নারী শয্যা সঙ্গী খোঁজার মধ্য দিয়ে, যেটি ভোগবাদী নারী খুব একটা না-ও করতে পারে। নারীরা বিনোদন এবং বিজয় লাভের চেষ্টা করে অন্য অনেক উপায়েও– তাদের ক্ষেত্রে কেনাকাটা, ঘুরতে যাওয়া, বেড়াতে যাওয়া বা বিশেষ কিছু করে গৌরবান্নিত হওয়া ইত্যাদি বেশি প্রাধান্য পায়। অনেক নারীও অতি মাত্রায় যৌনতাপ্রবণ হলেও গড়ে পুরুষের তুলনায় সেটি যথেষ্ট কম।

এই প্রস্তবনাটি সমাজের এস্টাবিলিসড্ নারী পুরুষদের ওপর করা। প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে কোন পক্ষের কতটুক বাধার সম্মখিন হতে হয়েছে, নারীদের ক্ষেত্রে সেটি বেশি কিনা সে আলোচনা এখাসে প্রাসঙ্গিক হয়নি। পাশাপাশি মাতৃত্বের কারণে নারীদের যে বিশাল বড় একটি দায়িত্ব পুরুষের তুলনায় বেশি পালন করতে হয় সেটিও আলোচিত হয়নি। এ কারণে এটি কোনো মতামত নয়, বরং শুধুই একটি প্রশ্ন এবং প্রস্তাবনা? 


দিব্যেন্দু দ্বীপ