সীমা ৩৬ বছর পরে কেন সংসার ছাড়ল? // নাসিমা খান

দুই স্বামী
দুই স্বামী
বিষয়ের গভীরে না গিয়ে বিষয়টিকে অনেকে মুখরোচক ভাবছে। কিন্তু এরকম বাস্তবতা দিন দিন বাড়ছে।

যশোরের সীমা এবং পলাশ কুণ্ডুর জন্য অভিনন্দন। একটা নারী কখন একটা সংসার ছেড়ে অন্য কারো কাছে চলে যায় সেটা বোঝার ক্ষমতা সমালোচনা এবং নিন্দাকারীদের নেই।

৩৬ বছর পরে একজন নারী কেন সংসার ছাড়লো? কোনো নারী সহজে তার সংসার ছাড়ে না। পুরুষ কখনো একজন নারীকে বুঝতে চায় না। কী চায়, কী হলে তার আত্মসম্মান বাঁচে একজন স্বামী তা কিছুতেই বুঝতে চায় না।

স্বামী বিয়ে করে স্ত্রীকে নিজের সম্পত্তি মনে করে। নারী নির্যাতন করার সময় এদের নিজের মায়ের কথা মনে পড়ে না। নিজের মা-ও একজন নারী। একথা ভুলে গিয়ে স্ত্রীর আত্মসম্মানবোধের কথা কখনো ভাবে না।

একটা সন্তান জন্ম দিয়ে নারীকে ব্লাক মেইল করতে থাকে। সন্তান ছেড়ে নারী কখনো যাবে না, যত অত্যাচার করুক না কেন। এ ধারণা প্রতিটি পুরুষের।

নারী সম্মান চায়, নির্ভরশীল মানুষ চায়, শ্রদ্ধা চায়, এগুলো দিতে পুরুষের ইগোতে লাগে। নারী জ্বলতে জ্বলতে এক সময় জলন্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে যায়। সে ফেটে পড়ে।

আর যশোরের সীমা ঠিক সেই কাজটি করেছে। জীবনবোধ তাকে তার প্রথম স্বামীকে ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। আমি সীমাকে সমর্থন করি। নির্যাতনের শেষ সীমা পর্যন্ত নারী দেখে। তারপর একদিন সে প্রতিবাদ করে। যদি সুযোগ পায় পালিয়ে বাঁচে।

সীমা পলাশ কুণ্ডুকে বিয়ে করে ভুল করেছে না ঠিক করেছে সে কথা আমি বলবো না। শুধু বলবো সীমা একটা মানসিক যন্ত্রণার হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছে। অভিনন্দন সীমা। মুক্তির স্বাদ নাও।


২৫/৯/২০২৫

নাসিমা খান।