যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ কীভাবে শহীদ পরিবার এবং সাধারণ জনগণের উপকারে আসে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তারা আমাদের মতো নির্দোষ নয়। তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘৭১-এর গণহত্যা থেকে গুলশান হত্যাকাণ্ড বিচার বিঘ্নিতকরণের চক্রান্ত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ কীভাবে শহীদ পরিবার এবং সাধারণ জনগণের উপকারে আসে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তরে জনগণের মতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, জনগণ যা চায়, তা-ই হবে। যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে, তা ইতিহাসের স্থান হয়ে গেছে। ইতিহাসের সঙ্গে বোঝাপড়া এ বিচারের মাধ্যমে শেষ হবে।
সভায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির নির্মিত ‘জার্নি টু জাস্টিস’ নামের একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এই তথ্যচিত্রে একাত্তরে গণহত্যার ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
সৌজন্যে: সোনালী নিউজ