রাজাকার মীর্জা রুহুল আমীনের ছেলে মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর কে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন

ফকরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান বিএনপির মহাসচিব। এর আগে ২০ই মার্চ ২০১১ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন। মির্জা ফখরুল এর আগে কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারী বিমান চলাচল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তার পিতা মির্জা রুহুল আমিন ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন এবং তিনি একজন সক্রিয় রাজাকার ছিলেন। পরে তিনি ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সম্প্রতি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে নির্বাচনী প্রচারে মীর্জা ফকরুল যে ভিডিও বার্তা ছেড়েছেন তাতে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক, কারণ, তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এমন কোনো প্রমাণ কোথাও নেই। এবং একইসাথে তিনি তার পিতার রাজাকার থাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে তিনি পাঞ্জাবীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। অথচ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে বাঙালি মুক্তিকামী মানুষের স্বশস্ত্র যুদ্ধ হয়েছিল, যেটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। পাঞ্জাবীদের সাথে আলাদাভাবে কোনো যুদ্ধ বাঙালিদের হয়নি।   

মীর্জা ফকরুলের ভিডিও বার্তা:

https://youtu.be/K1s7t4K8rYM?t=29

এই ভিডিওর প্রেক্ষিতে তরুণদের পক্ষ থেকে যে প্রশ্নগুলো তার প্রতি ছুড়ে দেওয়া হয়:

https://www.facebook.com/AshrafulAlamKhokan/videos/1959263930805668/?t=14

“তরুণ প্রজন্মের ধমনীতে বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” – ডা. নূজহাত চৌধুরী

https://www.facebook.com/nuzhatchoudhurybd/videos/1971869426452900/?t=64

ফকরুল ইসলাম আলমগীর

লিখেছে: Azam Khan

মির্জা রুহুল আমিন ওরফে চখা রাজাকারের পোলা মুক্তিযুদ্ধ করেছে বলে দাবি করে। ফখরুলের বাপ ১৯৭১ এ পাকি সেনাবাহিনীর হয়ে রাজাকারি করেছে। দেশ স্বাধীন হবার পরে বঙ্গবন্ধু খুন হওয়া পর্যন্ত জেলে ছিল। জিয়াউর রহমান এসে জেল থেকে ১১ হাজার রাজাকারকে বিচারাধীন অবস্থা থেকে ছেড়ে দিলে মির্জা রুহুল আমিন মুক্তি পায় এবং তারপর ঠাকুরগাঁও থেকে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করে। পরে এরশাদ ক্ষমতায় আসলে আবারো ডিগবাজি দিয়ে এরশাদের দলে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হয় এবং মারা যায়। #ফখরুল মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। বরং বাপের পাকি আদর্শের পথ ধরে তিনিও বিএনপি করেন। এইবারেও এই লোকের হাত ধরে জামাতিরা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক থেকে দাড়িয়েছে। নরম সরম, সুশীল ভঙ্গিতে বিন্দু মাত্র চোখের পাতা না কাঁপিয়ে মিথ্যা কথা বলা একটা শিল্প। রাজাকার পুত্র এবং পিতার আদর্শের জন্য এখনো যুদ্ধ করা মির্জা ফখরুল সেই শিল্পের একজন শিল্পী।