শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করতে কমিটি করেছে সরকার

১৪ ডিসেম্বর

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনতাসির মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি চৌধুরী শহীদ কাদের, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) এর পরিচালক বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ এবং গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের গবেষক গাজী সালাউদ্দিনকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন চলচিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ জহির বীর প্রতীক এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুল হক ভূঁঞা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

তালিকা যাচাই-বাছাই করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানাসহ এই কমিটিকে মতামত দিতে বলা হয়েছে।

“কমিটি মুক্তিযুদ্ধকালীন শহীদদের মধ্যে কারা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন তার সংজ্ঞা নির্ধারণ করবে। বিভিন্ন গবেষণা গ্রন্থ, পত্রিকার কাটিং, টিভি রিপোর্ট, অন্যান্য সূত্রে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রস্তুত করবেন।”

এছাড়া এই কমিটিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও গবেষকদের কাছ থেকে পাওয়া ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করতে হবে।

নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে— তা নিশ্চিত করা।

মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন

বুদ্ধিজীবীর তালিকা করতে যাচাই বাছাই