সরকারি ব্যাংকের পরীক্ষায় কিন্তু বাংলা খুব গুরুত্বপূর্ণ

follow-upnews
0 0

অনেকের ধারণা ব্যাংকের পরীক্ষায় শুধু অংক এবং ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টা কিন্তু পুরোপুরি সত্য নয়। ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি এবং অংকে তুলনামূলক একটু কঠিন প্রশ্ন আসে, কিন্তু বাংলা থেকেও প্রায় সমান নম্বরের প্রশ্ন থেকে। যেমন, বাংলাদেশ ব্যাংকে বাংলা থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। অন্যান্য ব্যাংকের পরীক্ষায়ও বাংলা থেকে ১৫ থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। তাই কোনোভাবেই বাংলার উপর কম গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ হবে না চাকরি পাবার ক্ষেত্রে। এখন যেহেতু সিনিয়র অফিসার এবং অফিসার ক্যাটাগরিতে সকল ব্যাংকের পরীক্ষা একসাথে হওয়ার কথা তাই ধরে নেওয়া যায় প্রায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আদলেই প্রিলি পরীক্ষাটা হবে। ব্যাংক জবের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অংক, ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা বিষয়ের উপরও সমান গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ রইল। বরং সাধরণ জ্ঞান কম পারলেও ব্যাংকের চাকরিটা পাওয়া যাবে, তবে বাংলা কম পারা উচিৎ হবে না।

১. ‘দহনকাল’ উপন্যাসটি কার লেখা?
ক. হুমায়ূন আহমেদ          খ. আনিসুল হক
গ. সনৎকুমার সাহা          ঘ. হরিশংকর জলদাস                   ঙ. শামসুর রাহমান
ব্যাখ্যা: ‘দহনকাল’ উপন্যাসটি ঔপন্যাসিক হরিশংকর জলদাসের লেখা। তিনি কথাসাহিত্যে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১২’ পদকে ভূষিত হন উক্ত উপন্যাসটির জন্য। তার কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো ‘দহনকাল’ ‘রামগোলাম’ ও ‘জলপুত্র’। তিনি গবেষণাধর্মী ‘গ্রন্থ কবিতা ও ধীবরজীবনকথা’, ‘লোকবাদক বিনয় বাঁশী’ প্রভৃতি রচনা করেন।

২. জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক জাফর ইকবালের প্রথম প্রকাশিত সায়েন্স ফিকশন হলো–
ক. নিঃসঙ্গ গ্রহচারী         খ. রাজু ও আগুনালির ভূত

গ. কপোট্রনিক সুখ দুঃখ   ঘ. যারা বায়োবট                       ঙ. রোবট
ব্যাখ্যা: মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রথম প্রকাশিত সায়েন্স ফিকশন ‘কপোট্রনিক সুখ দুঃখ’ (১৯৭৬)। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সায়েন্স ফিকশন হলো ‘নিঃসঙ্গ গ্রহচারী’ (১৯৯৪), ‘যারা বায়োবট’ (১৯৯৩) ‘জলমানব’ (২০০৭), ‘অক্টোপাসের চোখ’ (২০০৯), ‘ইকরাস’ (২০০৯) ও ‘কেপলার টুটুবি’ (২০১২) ইত্যাদি।

৩. ‘চাচাকাহিনী’ এর লেখক কে?
ক. সৈয়দ শামসুল হক               খ. শওকত ওসমান
গ. মাগন ঠাকুর                       ঘ. সৈয়দ মুজতবা আলী       ঙ. শাহ মুহম্মদ সগীর
ব্যাখ্যা: ‘চাচাকাহিনী’-এর লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী। তার রচিত বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী ‘দেশে বিদেশে’ এবং বিখ্যাত রম্যরচনা ‘পঞ্চতন্ত্র’, ‘ময়ূরকণ্ঠী’।

৪. ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
ক. আল মাহমুদ                   খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান ঘ. শামসুর রাহমান              ঙ. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যা: ‘সোনালী কাবিন’ আল মাহমুদ রচিত কাব্যগ্রন্থ। এটি কবি আল মাহমুদের সেরা সৃষ্টিকর্ম। তার রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’, ‘অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘দ্বিতীয় ভাঙ্গন’ ইত্যাদি।

৫. তোমাকে পাবার জন্যে হে স্বাধীনতা-এ পংক্তিটি কার?
ক. শামসুর রাহমান            খ. সৈয়দ শামসুল হক
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর            ঘ. রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ         ঙ. দাউদ হায়দার
ব্যাখ্যা: “তোমাকে পাবার জন্যে হে স্বাধীনতা” -পংক্তিটি শামসুর রাহমানের। তার আরেকটি বিখ্যাত পংক্তি- “তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো, বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।”

৬. কোনটি বানানটি শুদ্ধ?
ক. মুমুর্ষু                        খ. মুমূর্ষূ
গ. মূমুর্ষ                         ঘ. মুমূর্ষু                              ঙ. মূমুর্ষূ

উত্তর: গ

৭. এক কথায় প্রকাশ কর, – ‘যে নারী প্রিয় কথা বলে’।
ক. প্রিয় ভাষিনী                খ. প্রিয়ংবদা
গ. প্রিয়ভাষিণী                  ঘ. প্রিয়া                              ঙ. সুভাষিণী

উত্তর: খ

৮. সমাস নির্ণয় কর: ‘দশ আনন যাহার – দশানন’।
ক. দ্বন্দ্ব                           খ. কর্মধারায়
গ. বহুব্রীহি                       ঘ. অব্যয়ীভাব                     ঙ. তৎপুরুষ
ব্যাখ্যা: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন– দশ আনন যাহার = দশানন – বহুব্রীহি সমাস।

৯. Executive-এর পরিভাষা–
ক. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা         খ. নির্বাহী
গ. সহযোগী                   ঘ. ব্যবস্থাপক                       ঙ. সহকারী

উত্তর: খ

১০. সন্ধি বিচ্ছেদ করুন: পর্যালোচনা।
ক. পর্য + আলোচনা         খ. পরি + আলোচনা
গ. পর্যা + লোচনা            ঘ. পর্যালো + চনা                   ঙ. পরিআলো + চনা

উত্তর: খ

১১. ‘মেধাবী’ শব্দের প্রকৃতি প্রত্যয় কি হবে?
ক. মি + আদবি              খ. মেধা + বি
গ. মেধা + বিণ               ঘ. মেধ + অবি                       ঙ. মৌ + ধাবি
ব্যাখ্যা: ‘মেধাবী’ (মেবা + বিণ) শব্দটি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে গঠিত হয়েছে।

১২. ‘গোঁফ খেজুরে’ অর্থ কি?
ক. গোঁফের বিশেষ আকৃতি  খ. পেটুক
গ. অলস                       ঘ. চটপটে                           ঙ. চতুর

উত্তর: গ

১৩. অন্ধজনে দেহ আলো– এখানে ‘অন্ধজনে’ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
ক. কর্মে সপ্তমী                খ. কর্তৃকারকে শূন্য
গ. সম্প্রদানে সপ্তমী           ঘ. করণে দ্বিতীয়                    ঙ. অপাদানে সপ্তমী
ব্যাখ্যা: যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। ‘অন্ধজনে দেহ আলো’ বাক্যে ‘এ’ বিভক্তির ব্যবহার হয়েছে। সুতরাং সঠিক উত্তর (গ)।

১৪. নিচের কোন ‘পৃথিবী’ শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
ক. বসুমতী                  খ. বসুধা
গ. ধরা                       ঘ. ধরণী                                ঙ. বারি
ব্যাখ্যা: ‘পৃথিবী’ শব্দের প্রতিশব্দ হলো বসুমতী, বসুধা, ধরা, ধরণী, বসুমতী ইত্যাদি। ‘বারি’ হচ্ছে ‘জল’ শব্দের প্রতিশব্দ। সুতরাং সঠিক উত্তর (ঙ)।

১৫. ‘কচ্ছপের কামড়’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ হচ্ছে–
ক. কঠিন কামড়             খ. অলসতা
গ. সফলতা                  ঘ. কঠিন কাজে সফল হওয়া         ঙ. নাছোরবান্দা

উত্তর: ঙ

১৬. লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই– ‘লাঠালাঠি’ কোন সমাস?
ক. দ্বন্দ্ব                       খ. কর্মধারয়
গ. বহুব্রীহি                   ঘ. তৎপুরুষ                            ঙ. দ্বিগু
ব্যাখ্যা: ‘লাঠালাঠি’ ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস। ক্রিয়ায় পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। যেমন, হাসাহাসি, দেখাদেখি, কানাকানি ইত্যাদি। এ সমাসে পূর্বপদে ‘আ’ এবং উত্তরপদে ‘ই’ যুক্ত হয়। সুতরাং সঠিক উত্তর (গ)।

১৭. ভুল প্রতিশব্দটি নির্ণয় কর।
ক. অগ্নি – ব‎িহ্ন            খ. ইচ্ছা – পরশ্রীকাতরতা
গ. কন্যা – তনয়া          ঘ. রাত্রি – যামিনী                       ঙ. বিসর্জন – ত্যাগ
ব্যাখ্যা: ‘ইচ্ছা’ শব্দটির প্রতিশব্দ হলো বাসনা, অভিপ্রায়, আকাক্সক্ষা, কামনা, আগ্রহ ইত্যাদি। সুতরাং সঠিক উত্তর (খ)।

১৮. ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ কি জাতীয় সংকলন?
ক. ছোটগল্প                     খ. রূপকথা
গ. রম্যরচনা                    ঘ. গীতিকাব্য                           ঙ. উপন্যাস
ব্যাখ্যা: ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ রূপকথা জাতীয় সংকলন। এটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার কর্তৃক সংগৃহীত কথাসাহিত্য। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘ঠাকুর দাদার ঝুলি’, ‘দাদা মশায়ের থলে’, ‘ঠান দিদির থলে’ ইত্যাদি।

১৯. ‘সৌম্য’ -এর বিপরীতার্থক শব্দটি কোনটি?
ক. শান্ত                         খ. সুশীল
গ. উগ্র                           ঘ. উদ্ধত                                ঙ. কঠিন
ব্যাখ্যা: শান্ত, সুশীল, উদ্ধত, কঠিন -শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ যথাক্রমে: অশান্ত, দুঃশীল, বিনীত, কোমল। সুতরাং সৌম্য ’র বিপরীতার্থক শব্দ উগ্র।

২০. ‘জীবন্মৃত’ এর ব্যাসবাক্য কোনটি?
ক. জীবিত কিন্তু মৃত            খ. যে জীবিত সেই মৃত
গ. মৃতের ন্যায় জীবিত         ঘ. একই সাথে জীবিত ও মৃত              ঙ. জীবিত থেকেও যে মৃত

উত্তর: ঙ


JoVEN JoBS

Next Post

কান্নার অধিকার চাই // প্লাবন ইমদাদ

  রাষ্ট্র নানা অধিকারে অধিকারনান্বিত করেছে নাগরিকবৃন্দকে। যেমন ধরুণ, ধর্মানুভূতি প্রকাশ ও লালনের অধিকার, সুখাধিকার, লিঙ্গাধিকার, বিশেষ গোষ্ঠি অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, বাকাধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি চিৎকার করে একবার কেবল কাদবার অধিকার চাই। আমার কান্না সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে না কোন টেরিন্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কে, আমি নাহয় কাঁদব কোন আঁধার জঙ্গলে গিয়ে! […]
প্লাবন ইমদাদ