অভিযুক্ত ধর্ষক সাফাতের পিতা আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দাবী করেছেন, তার ছেলের আগের একজন স্ত্রী প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণ মামলা করিয়েছে।
তিনি বলেন, “তিনি টেলিভিশনের উপস্থাপক ফারিয়া মাহাবুব পিয়াশাকে বিয়ে করতে দুই বছর আগে অমত হয়েছিলন।”
এরপর তাদের বিয়ে হলেও আমার ছেলের তার জীবনযাপন পদ্ধতি পছন্দ না হওয়ায় তাকে তালাক দেয়। ঐ নারী এখন প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করছে।
ফারিয়া মাহাবুব পিয়াশা বিডিনিউজকে বলেছে, “সাফাত উপযুক্ত কোনো কারণ না দর্শিয়ে তাকে তালাক দেয় এ বছরের ৮ মার্চ। আর ধর্ষণ মামলাটি হয়েছে হত সপ্তাহে। সে আগে আরো একজনকে বিয়ে করেছিল।”
তিনি আরো বলেন, “ঐ দিন সাফাতের সাথে যারা বনানীর রেইনট্রি হোটেল-রেস্টুরন্টে জন্মদিনে গিয়েছিল তারা তো জানেই না যে সাফাতের সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল। মামলা দায়ের করার দিন থানায় উপস্থিত থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেন।”
বনানী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং সাফাতের পিতার বক্তব্য তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবী করেন। এভাবে বর্তমান ঘটনা আড়ালে করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানো হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণী । ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হয়েছে। সাদনান সাকিফ, সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে শনিবার রাতে এ মামলা করেন ধর্ষিত এক তরুণী। মামলা নম্বর আট। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন প্রভাবশালী এক নেতার ছেলে, অন্য জনের পরিচয় জানা যায়নি। সাফাতের ড্রাইভার বিল্লাল ও দেহরক্ষীকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।