১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে মহিলা আওয়ামী লীগ। এদের অনেককেই চেনেন না সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কমিটিতে বিতর্কিত, অপরিচিত ও হাইব্রিডদের স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আছে ত্যাগী নেত্রীদের ঠাঁই না হওয়ার। বিশেষ সুপারিশে অপরিচিত অনেকে কমিটিতে জায়গা পাওয়ার কথাও বলছেন।
গত শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে মহিলা আওয়ামী লীগ। কমিটিতে সভাপতি, সহ-সভাপতি ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৮ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৮ জন, অন্য সম্পাদক ২৩ জন এবং কার্যকরী সদস্য ৮৯ জন।
নতুন কমিটিতে কার্যকরী সদস্য পদ পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আমির মজলিশে শূরা সদস্য মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া নদভী। রিজিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক। জামাতের সহযোগী সংগঠন ছাত্রী সংস্থার নেত্রী ছিলেন বলেও অভিযোগ আছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযমের শিষ্য হিসেবে পরিচিত আবু রেজা নদভীর স্ত্রী রিজিয়া। স্থানীয় মহিলা লীগের নেত্রীদের অভিযোগ, নদভী ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সংসদ সদস্য হন। এ নিয়ে দলের মধ্যে এখনো ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। রিজিয়ার বাবা মমিনুল হক চৌধুরী সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে ১৯৯১ সালে এবং পরে বাঁশখালী আসন থেকে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচন করেন।
এদিকে রিজিয়া নদভীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই বহিষ্কার করা হবে রিজিয়া নদভীকে। এর আগেও তাকে একবার বহিষ্কার করার পর কিভাবে কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের কমিটিতে এলেন, এটা নিয়েও আওয়ামী লীগের উপর মহলে আলোচনা হচ্ছে।
খবর: পূর্বপশ্চিম