টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে ‘পাগলের আশ্রম’ চালু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে পরিচিত একজন তরুণী। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রায় ২৫ জন ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীকে নিয়ে এই আশ্রম চালু করেন তিনি।
ওই তরুণীর নাম মারইয়াম মুকাদ্দাস ওরফে মিষ্টি। তিনি বলেন, বাসাইল উপজেলার যশিহাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল ইসলামের মেয়ে তিনি। স্নাতক করেছেন ঢাকার শান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেন তিনি।

গতকাল (৮ মার্চ) শহরের আকুরটাকুর ছোট কালিবাড়ী এলাকায় জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছয়তলা ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন বয়সের ১১ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ অবস্থান করছেন। আরও লোকজন ছিলেন ভবনটির তৃতীয় তলায়। সেখানে অবস্থান করছিলেন মারইয়াম মুকাদ্দাস নামের ওই তরুণী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তার এই আশ্রম সদর উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় ছিলো। আজ শনিবার দুপুরে জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে এটি স্থানান্তর করা হলো। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণের টাকা লুটপাট করে বাড়িঘরসহ এসব সম্পদ করেছিলেন। তাই এগুলো এখন জনকল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
প্রথম আলোয় নেতিবাচক খবর প্রকাশের পর যৌথবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের ছোট কালিবাড়ী এলাকার বাসা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলা এলাকায় পূর্বের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।