আজকেও টি-স্টলে বসে সিগারেট ফুঁকলাম, কই আমাকে তো পুলিশ আটক করেনি?

তরুণী

খবর

রাজশাহীর পুঠিয়ায় চা স্টলে প্রকাশ্যে ধুমপান করার সময় এক তরুণী ও তার বন্ধুকে আটক করে পুঠিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে

উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্গত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পার্শে অবস্থিত একটি চা স্টল থেকে তাদের দু’জনকে আটক করে থানায়

নিয়ে আসা হয়। পরে শনিবার সকালে তরুণীর বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে মুচলেকা আদায় করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু তার বন্ধুকে

মাদকসেবনকারী হিসেবে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তরুণী





মন্তব্য

টি স্টলে সিগারেট খাওয়ার কারণে কাউকে যদি গ্রেফতার করতে হয় তাহলে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ লোক এদেশে গ্রেফতার হওয়ার কথা। যেহেতু প্রতিদিন টি স্টল থেকে কয়েক লক্ষ লোক গ্রেফতার হচ্ছে না, তাই সহজেই বলা যায় যে “একজন নারী টি-স্টলে সিগারেট খেতে পারবে না” -এটা শুধু অলিখিত সামাজিক বিধিনিষেধ নয়, আইনও গতিপথ বদলে সেখানে সোচ্চার।

এই খবরটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে নারী-পুরুষ বৈষম্যের দিকটি দেখিয়ে দিয়েছে। “পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ” এমন একটি আইন দেশে আছে, এবং সেটি টি-স্টল বাদে অন্য সকল জায়গায় কমবেশি কার্যকর, মানুষ আইনটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে, তবে টি-স্টল যেহেতু চা সিগারেটেরই দোকান, তাই সেখানে ধুমপান অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা, মানুষ সেখানে ধুমাপান করতেই যায়। এ কারণে ওই তরুণী কোনো অপরাধ করেছে -এমনটি বলা যায় না। তাহলে কেন তাকে গ্রেফতার করা হলো, নারী বলে? কোনো দেশে আইনের প্রয়োগ তো সভ্য সমাজে ধনী গরীব নারী পুরুষ ধর্ম বর্ণ ভেদে হতে পারে না, হলে সেটি কি অনেক বড় দণ্ডনীয় অপরাধ নয়? 

এই লেখার মানে এই নয় যে আমি বলছি ধুমপান করা ভালো, বরং একথা বলছি যে যেহেতু টি-স্টল থেকে ধুমপান করার অপরাধে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে গ্রেফতার করা হয় না, তাই একজন তরুণী টি-স্টলে ধুমপান করছে বলে তাকে গ্রেফতার করায় অনেক বড় রাষ্ট্রীয় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। 

ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য

তরুণীর প্রকাশ্যে ধুমপান

পূর্বাশা সঞ্চারী