দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর যে নিধনযজ্ঞ চলছে, তারই অংশ হিসেবে এই তিনজন খুন হয়েছে বলে মনে করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। একের পর এক এমন আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম (৪০)। তাকে রক্ষা করতে গেলে গুরুতর আহত হন শাহীন তারেক নামে আরো এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি— স্থানীয় নেতা কামাল, টগর, মিলন, রেজাউলসহ ১০–১২ জন পরিকল্পিতভাবে এ হামলায় অংশ নেয়।
ভোলা সদর উপজেলায় আরো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির উঠোনে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।
এদিকে ঢাকায়ও রেহাই পায়নি ছাত্রলীগ। মহানগর দক্ষিণ শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও দনিয়া ইউনিয়ন শাখার সাবেক ছাত্রনেতা, ৫ আগস্টের পর কারারুদ্ধ এবং জামিনে মুক্ত মোঃ আবু হেনা বিপ্লবকে গতকাল সন্ত্রাসীরা মব সৃষ্টি করে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
একই ধাঁচে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের হত্যার এই প্রবণতা রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ ও নিন্দার ঝড় তুলেছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন— দেশজুড়ে এই রক্তাক্ত তাণ্ডব কে থামাবে? কবে থামবে?