এরকম একটি ম্যুরালের পিছনে আসলে কত খরচ হয়?

ম্যুরাল

বিগত সরকারের সময়ে দেশে হাজার হাজার ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে, বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন জায়গায়। প্রধানত এগুলো ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। কিছুক্ষেত্রে তা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। এসব ম্যুরাল বানাতে আসলে কত খরচ হত? বারাদ্দই বা হত কীভাবে? এ বিষয়ে ফলোআপ নিউজ খোঁজখবর করে জানতে পেরেছে— বেশিরভাগক্ষেত্রে ম্যুরালগুলো নির্মিত হত মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশে, বা তদবির করে এগুলো আনা হত। অনেকক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নিজস্ব বরাদ্দ থেকেও এটা করেছে। এজন্য মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ হত। কয়েক স্তরে এই টাকা ভাগাভাগি হয়ে তারপরে বরাদ্দকৃত টাকার একটি অংশ দিয়ে ম্যুরাল নির্মিত হত। গণ আন্দোলনের মুখে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর রাতারাতি এসব ম্যুরাল উপড়ে ফেলা হয়। ফলে ধরেই নেওয়া যায় ইতোমধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানে ম্যুরাল নির্মাণের জন্য টাকা আটকে আছে, সে টাকা হয়ত ফেরৎ যাবে। ফলোআপ নিউজ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে— এরকম একটি টাকা আটকে আছে খুলনা আজম খান কমার্স কলেজে। কলেজের প্রিন্সিপাল কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, তিনি ম্যুরাল নির্মাণের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার একটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন। টাকাটা এখন হয়ত ফেরৎ যাবে।

বঙ্গবন্ধু
সারা দেশের মতো খুলনা জেলা পরিষদের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটিও ভেঙে ফেলা হয়। প্রসঙ্গত, সামনে আদর্শিক নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি থাকলেও সদ্য পদচ্যুত খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মি: ৩০% নামে পরিচিত ছিলেন। অর্থাৎ, কোথাও অনুদান বা কাজ দিতে হলে ৩০% টাকা তিনি রেখে দিতেন।