খাদ্যের দুর্নীতিতে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা এবং মাগুরা এগিয়ে

শ্যামনগর

ফলোআপ নিউজ এবং কিউএন্ডসি রিসার্চ যৌথভাবে খাদ্য বিভাগের দুর্নীতির ওপর একটি পর্যবেক্ষণ দাঁড়া করাচ্ছে। ফলাফল বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে জমা দেওয়া হবে। প্রথমত, ঢাকা বিভাগের আংশিক এবং সমগ্র খুলনা বিভাগের ওপর কাজ চলছে।

Khulna
খুলনা কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার। ছবিঃ ফলোআপ নিউজ।

সরকারি নীতিমালা, বিগত পনেরো বছরে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, সরবরাহকারীদের দেওয়া তথ্য, ডিলারদের দেওয়া তথ্য, সুবিধাভোগীদের দেওয়া তথ্য এবং কৃষকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে প্রতিবেদন তৈরীর কাজ চলছে।

প্রাথমিক পর্যালোচনায় খাদ্যের দুর্নীতিতে এগিয়ে থাকা জেলা হিসেবে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা এবং মাগুরার নাম বিশেষভাবে এসেছে। শীর্ষ পাঁচ  উপজেলার মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর এবং মাগুরার শালিখার নাম উল্লেখযোগ্য।

শুরুতে ১০৪ জন কর্মকর্তার নামের তালিকা ধরে কাজটি করা হচ্ছে। তবে যথাসম্ভব কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ না করে শুধু দুর্নীতির বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। যাতে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। খাদ্য বিভাগের দুর্নীতির ব্যপ্তি বুৃঝাতে কয়েক ধাপে অনুসন্ধান শেষে নামের তালিকায় রদবদল এনে এবং কমিয়ে পঁচিশ জন কর্মকর্তার ওপর একটি চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ দুদকে জমা দেওয়া হবে। নাম না দিয়ে প্রধানত বিষয়ভিত্তিক এবং ঘটনাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ জমা দেওয়া হবে এবং প্রকাশ করা হবে।

শুধুমাত্র যে ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে ব্যক্তির নাম প্রকাশ করার কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা এবং চূড়ান্ত জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট আবেগ তৈরী হবে, সে নামগুলো প্রথমে গণমুখে গোপন রেখে দুদক এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন মনে না করলে ফলোআপ নিউজ এগুলো প্রকাশ করবে না।

ফলোআপ নিউজ এবং কিউএন্ডসি রিসার্চ বিষয়কে গৌণ করে ব্যক্তির ত্রুটি বিচ্যুতিতে মনোযোগী হবে না। ফলোআপ নিউজ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা, উপজেলা অফিস এবং খাদ্যগুদামে অনুসন্ধান পরিচালনা করেছে।