খুলনা সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ ফজল, উপসহকারী পরিচালক মো. শামীম রেজা ও মো. আশিকুর রহমান।

অভিযানকালে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বলেন, সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি ও ঘুষ দাবিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পুরো অফিস তল্লাশি চালিয়ে কিছু অনিয়ম পেয়েছি। এ সময় নকলনবিশ রাসেল শিকদারের ব্যাগে নগদ ৭০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সেই টাকার উৎসের যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। মিতা নামের আরেক নকলনবিশের ব্যাগে ব্যাংকিং লেনদেনের বেশ কিছু ডকুমেন্টস পেয়েছি। সেখানে প্রায় ১২ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। আমরা তাকে সময় দিয়েছি, উনি হয়তো দু-একদিনের মধ্যে ব্যাখ্যা করবেন। এছাড়া দীপক কুমারের বিকাশে টাকা লেনদেন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। আমরা ছদ্মবেশে এসেছিলাম। তখন দুইজন নকলনবিশকে পেয়েছি তাদের কোনো নিবন্ধন নেই। তারা এখানে দলিল উত্তোলনের সরকারি ফি-এর অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছেন। সার্বিক বিষয়ে আমরা জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলেছি। নকলনবিশ যারা আছেন তাদের রেজিস্ট্রি বাতিল এবং তাদের শোকজ করার কথা বলেছেন তিনি। সার্বিক বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা ও কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রকিবুল ইসলাম বলেন, অফিসে নকল তুলতে এবং রেজিস্ট্রি করতে দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। একইসঙ্গে সরকারি ফি এর অতিরিক্ত আদায়ের প্রমাণ পেয়েছি। নকলনবিশ এবং দালালদের সখ্যতা থাকতে পারে। সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
…
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর, ঢাকা পোস্ট, কালবেলা