মো. মোতালেব হোসেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পার্সোনাল অফিসার, সংক্ষেপে পিও)। বর্তমানে কাজ করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পিও হিসেবে। দ্বিতীয় শ্রেণির এই কর্মকর্তা জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে বেতন পান। তার মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা। মোট বেতন ৩০ হাজার ৬০০ টাকা। অফিস থেকে ছয় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। বেতন থেকে ঋণের কিস্তি বাবদ প্রতি মাসে কাটা যায় ১২ হাজার টাকা। গ্রিন রোড স্টাফ কোয়ার্টারের সরকারি বাসায় থাকেন তিনি। তাই বাড়িভাড়া বাবদ কেটে নেওয়া হয় ১৪ হাজার টাকা। ঋণের কিস্তি আর বাড়িভাড়া দিয়ে তার হাতে থাকে মাত্র চার হাজার ৬০০ টাকা। এই টাকায় তিন সন্তান, স্ত্রীসহ তিনি সারা মাস কীভাবে কাটান, তা এক অপার রহস্য। এই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে রাজধানীতে তার বিশাল বাড়ি নির্মাণের ঘটনায়।
এদিকে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনও যেন হাতে পেয়েছেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন স্কেলে তার সর্বমোট বেতন ১৫ হাজার ২৮০ টাকা। অথচ তার রয়েছে বিলাসবহুল দুটি ফ্ল্যাটসহ একাধিক গাড়ি।
রাজধানীর বছিলা রোডে পশ্চিম ধানমণ্ডির ‘বি’ ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ২৬ নম্বরে নির্মাণাধীন সাততলা বাড়িটিই পিও মোতালেব হোসেনের। এটির দ্বিতীয়তলা পর্যন্ত ফিনিশিং দেওয়া হয়েছে। তবে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ হয়েছে ছয়তলা অবধি। স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এ বাড়ি এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে এটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। বাড়িটি শেষ করতে লাগবে আরও অন্তত এক কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মোতালেব হোসেনের বছিলা রোডের বাড়িটি দুই ইউনিটের। প্রতি ইউনিটে দুটি বেডরুম, একটি ডাইনিং রুম, দুটি বাথরুম ও দুটি বারান্দার পজিশন করা হয়েছে। সিঁড়িসহ লিফটের পজিশনও রয়েছে। একদম নিচতলায় রাখা হয়েছে গ্যারেজের জায়গা। শুধু দোতলায় দুটি ইউনিট সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। বাকি তলাগুলো খালি পড়ে আছে। কক্ষের দেয়াল তোলাসহ বাকি কাজ এখনও করা হয়নি।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লাহাট ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেনছের আলীর দুই ছেলের মধ্যে বড় মোতালেব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে টাইপিস্ট হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। পিও পদে পদোন্নতি পান ২০০৮ সালের ৯ এপ্রিল। দুই বছর ধরে তিনি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পিও হিসেবে কাজ করছেন। এর আগেও এক দফায় কয়েক মাস এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. হেলাল উদ্দিন ও যুগ্ম সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) বেলায়েত হোসেনের পিও হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। মাত্র ১৬ হাজার টাকা স্কেলে চাকরি করা একজন ব্যক্তি কীভাবে রাজধানীতে চার কোটি টাকা মূল্যের বাড়ির মালিক হলেন, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে শিক্ষা প্রশাসনসহ সব মহলে। রোববার রাতে সরকারি দ্বিতীয় শ্রেণির এই কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর বের হতে শুরু হয়েছে তার এত টাকার খবর। জানা যাচ্ছে, ঘুষ-বাণিজ্যই তার অবৈধ আয়ের মূল উৎস।
গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে মোতালেব বছিলার পশ্চিম ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় তিন কাঠা জমি কেনেন। ‘বি’ ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের এই ২৬ নম্বর হোল্ডিংয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১০ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়িটি সাততলা অবধি হবে। এর মধ্যে ছয়তলা পর্যন্ত ছাদ হয়েছে। প্রতি তলায় দুটি করে ইউনিট। একেক ইউনিট প্রায় ৮৬০ বর্গফুট। দোতলার দুটি ইউনিট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে ভাড়াটে ওঠার কথা ফেব্রুয়ারি থেকে। বাড়ির নিচে রড, ইট ও খোয়া পড়ে রয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, দ্রুতগতিতে এ বাড়ি নির্মাণের কাজ চললেও গত শনিবার বিকেলে এখান থেকেই কয়েকজন মোতালেবকে কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। পাশের ২৭ নম্বর বাড়ির মালিক আতাউল্লাহ বলেন, তিনি এবং মোতালেব ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে একই সঙ্গে জমি কিনেছিলেন। তখন প্রতি কাঠার মূল্য ছিল ৯০ হাজার টাকা।
ওই এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে করা সাততলা বাড়িটির নির্মাণকাজ শেষ করতে আড়াই কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। এ পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে, তাতে প্রায় এক কোটি খরচ হয়েছে। মোতালেব প্রায়দিন বিকেলেই বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে আসতেন। তবে শুক্র ও শনিবার বেশি সময় থাকতেন। নিজের বিলাসবহুল প্রাইভেটকারেই বেশি যাতায়াত করতেন ওই বাড়িতে। তিনি এলাকায় বেশ পরিচিত। এলাকাবাসী তাকে শিক্ষামন্ত্রীর পিএস বলেই চেনেন এবং সমীহ করেন।
স্থানীয়রা জানান, এ এলাকায় প্রতি কাঠা জমির বর্তমান বাজারমূল্য ৬০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোতালেবের তিন কাঠা জমির দাম বর্তমানে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মন্ত্রীর দপ্তরে কাজ করার সুবাদে পুরো মন্ত্রণালয়েই তাঁর দাপট ছিল। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পারতেন। আরও কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীকে নিয়ে তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। এই সিন্ডিকেট শিক্ষকদের বদলি থেকে শুরু করে পদোন্নতি, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পুরনো প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি ও শাখা খোলা, মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটা ও সনদ-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত দায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুমতি পর্যন্ত করিয়ে দিত। সর্বশেষ লেকহেড গ্রামার স্কুল থেকে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ফেঁসে যায় এ সিন্ডিকেট।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া গুলশান ও ধানমণ্ডির লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দিতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক খালেদ হাসান মতিনের কাছ থেকে অগ্রিম ছয় লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তিনজন। তারা হলেন- মন্ত্রীর পিও মোতালেব হোসেন, উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন ও বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আলম খান। তারা প্রত্যেকে ভাগে দুই লাখ টাকা করে পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশকে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এই তিনজন মিলে লেকহেড গ্রামার স্কুল চালুর জন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একাধিকবার ফাইল চালাচালি করেন।
এ রকম বিভিন্ন উৎকোচ বাণিজ্য করেই বিলাসবহুল গাড়ি ও রাজধানীতে চার কোটি টাকা মূল্যের বাড়ির মালিক বনেছেন একদা মন্ত্রণালয়ের টাইপিস্ট মোতালেব।
দ্বিতীয় শ্রেণির একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে মোতালেব হোসেনের এত সম্পদের পেছনে বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু তিনি সরকারি কর্মকর্তা, সেহেতু তার সম্পদের বিষয়ে তদন্ত ভালোভাবে করতে হবে। মন্ত্রণালয়কেই এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। তা ছাড়া একজন দুর্নীতিবাজ কখনই এককভাবে দূর্নীতি করতে পারে না। তার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। এসব তদন্ত করে দুর্নীতিবাজদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
পিও মোতালেবের বাবা দেনছের আলী হাওলাদার কৃষক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে পরিবারের কেউ বাড়িতে থাকেন না। গ্রামের বাড়িতে তাদের একটি দোচালা টিনের ঘর রয়েছে। দেনছের আলীর তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে মোতালেব হোসেন সবার বড়। এলাকায় তিনি কম আসেন বলে অনেকেই তাকে চেনেন না। তাঁর দুর্নীতির দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের খবর শুনে হতবাক হয়েছেন এলাকাবাসী। একজন কৃষকের ছেলে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হয়ে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় তাঁর গ্রামের মানুষও ধিক্কার দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমতলী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, মোতালেবের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। ছেলেমেয়েদের অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তাঁর ছেলে এভাবে দুর্নীতি করবে এটা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। মোল্লারহাট ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন সমকালকে বলেন, দেনছের আলী হাওলাদারকে চিনতাম। তাঁর ছেলে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হয়েছেন, এটা এলাকার কেউ জানতাম না। এখন তাদের সবকিছুই শুনেছি। দুর্নীতির সঙ্গে সৃম্পৃক্ত থাকলে তাঁর বিচার হওয়া উচিত।
কোটিপতি কর্মচারী নাসির: পুলিশের হাতে গ্রেফতার মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মচারী উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনের মূল চাকরি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। তিনি সংযুক্ত রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের পত্র গ্রহণ ও বিতরণ শাখায়। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। দুদকও কোটিপতি এই কর্মচারীর দুর্নীতি তদন্ত করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, জঙ্গি ও ধর্মীয় উস্কানির দায়ে সম্প্রতি বন্ধ হওয়া লেকহেড গ্রামার স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকায় রফা হয়। অগ্রিম হিসেবে ছয় লাখ টাকা নাসিরের হাতে দেওয়া হয়। কাজ হলে বাকি টাকা দেয়ার কথা ছিল। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত বলে জোর অভিযোগ উঠেছে। নাসির গ্রেফতার হওয়ায় ওই শাখার বেশ কয়েকজন আতঙ্কে আছেন।
উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন ১৯ জানুয়ারি হয়ে যাওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বনভোজন আয়োজন কমিটিতে ছিলেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, বনভোজনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার পর থেকেই নাসির তৎপরতা শুরু করেন। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনভোজনের নামে বিরাট অঙ্কের চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। এ ব্যাপারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তাকে ডেকে নিয়ে সাবধান করার পরও থামেননি তিনি। তাকে মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা ওঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হলেও রাজধানীর এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে নাসির চাঁদা চাননি। বনভোজনের একদিন আগে নিখোঁজ হওয়ার আগপর্যন্ত নাসিরের কাছে প্রায় ২৯ লাখ টাকা ছিল বলে কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন। মাউশির কর্মচারী সমিতির নেতারা জানান, জাল সনদে চাকরি দেওয়া ও এমপিওভুক্তিতে জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম করে নাসির এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ২০১৩ সালে এমপিও জালিয়াতির দায়ে নাসিরকে ঢাকার বাইরে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছিল।
২০০৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি নেন নাসির। পরে মাউশির অফিস সহকারী পদে চাকরি পান তিনি। এরপর থেকেই তার উত্থানের শুরু। মাউশির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখায় কাজ করেছেন নাসির। ২০১০ সালে মাউশি থেকে বদলি হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এমপিও শাখায় কাজ করেছেন। আর ম্যাজিকের মতো দু’হাতে বানিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নাসির তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও ব্যবহার করতেন দুটি সুন্দর গাড়ি। খিলক্ষেতে বিলাসবহুল কনকর্ড লেকসিটি টাওয়ারে নিজের কেনা সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করেন। ওই বিল্ডিংয়ে তার দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ওই এলাকায় এফএনএফ (ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি) ক্লাব বা সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নাসির এই ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ওই ভবনেরই গ্রাউন্ডে একটি সুপার শপ খোলা নিয়ে ওই এলাকায় একজনের সঙ্গে সম্প্রতি বিরোধেও জড়ান তিনি।
সূত্র: অনলাইন