চিত্র একই, চরিত্রগুলো শুধু ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে …

তর্ক বিতর্ক শেষে এটা বলাই যায় যে, আওয়ামী লীগ সরকার টানা ষোলো বছর দেশ শাসন করেও দেশের জন্য তেমন কোনো ভালো করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বাদ দিলে মানবোন্নয়ন যেমন হয়নি, পাশাপাশি দুর্নীতি হয়েছে সিমাহীন। দুর্নীতি আগেও কখনো কম হয়নি। কিন্তু অওয়ামী লীগ সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো, জনমতের বিরদ্ধে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে যে নজির তারা গড়েছিলো, তাতে তাদের সরকারে টিকে থাকার মূল ভিত্তি হওয়ার কথা ছিলো সততা এবং সুশাসন। কিন্তু সেটি হয়নি, বিপরীতে দুর্নীতি এবং রাঘববোয়ালদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে হয়েছিলো। ছাত্র-জনতার এক রক্ষক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু জনমনে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে— আসলেই কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে তো, নাকি এগুলো শুধু শোধ প্রতিশোধের খেলা। নতুন পোস্টারগুলো ধেকে জনমনে ভয় বাড়ছে, তারা বলাবলি করছে— আমরা কি তাহলে আবার একই বৃত্তে ঘুরপাক খেতে যাচ্ছি?

ছাত্রদল
খুলনা শহরের মোড়ে মোড়ে বসতে শুরু করেছে এ ধরনের পোস্টার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বলছে, তারা আর এ ধরনের লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি চায় না। তাদের প্রশ্ন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার বার্তা দেওয়ার জন্য শুধু প্রতিষ্ঠাতার ছবি দেওয়াটাই যথেষ্ট নয় কি?