খুলনা বড় বাজারের কয়েক জন শাড়ী ব্যবসায়ীর ব্যবসা অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে— দীর্ঘদিন ধরে তারা অন্য মালের সাথে ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে এবং চোরাই পথে শাড়ী আনছেন। কোলকাতার বারাসাতের একজন ব্যবসায়ী শাড়ী পাচারের এ কাজে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
ভুলবোঝাবুঝিতে কিছু কিছু চালান মাঝে মাঝে আটক হলেও বেশিরভাগ চোরাচালান গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
বেনাপোল এবং ভোমরা স্থলবন্দর শাড়ী পাচারের দু’টো বড় রুট। এখান থেকে অবৈধভাবে আনা শাড়ী সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে রাজস্ব ফাঁকির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় শাড়ী শিল্প।
চোরাই পথে আনা শাড়ী ধরা কঠিন কিছু নয়। বন্দরে ফাঁকি দিতে পারলেও বিভিন্ন দোকানের স্টক যাচাই করে উৎস জানতে চেয়ে ধরে ফেলা সম্ভব। কিন্তু রাজস্ব কর্মকর্তারা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সেটি না করে ব্যক্তিগত লাভ বুঝে নিতেই বেশী আগ্রহী।
কাস্টমস্ ডিউটি ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে শাড়ী এনে উচ্চমূল্যে এসব শাড়ী বিক্রি করলেও শাড়ীর বড় দোকানিরাও ভ্যাট দেন না। দিলেও যৎসামান্য। বড় বাজারের ডজন খানেক ব্যবসায়ীর ব্যবসার ওপর ঠিকমতো অডিট হলেও সরকারের পাওনা দশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সিনিয়র সাংবাদিক ফকরুল আলম।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি তারা দিয়ে আসছেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ীর ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ এককভাবে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
নাম উল্লেখ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত নিউজ আসছে। চোখ রাখুন।