রাজধানীর বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ১১ ঘন্টা অস্ত্রের মুখে রেখে ও জোর করে মদপান করিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তিন তরুণসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই দুই তরুণী। মামলার ৫ আসামি হলো—সাফাত আহমেদ (২৬), নাঈম আশরাফ (৩০), সাদমান সাকিফ (২৪), গাড়ি চালক বিল্লাল (২৬) ও সাফাতের দেহরক্ষী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে তারা ধর্ষণের শিকার হন। সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ নামে দু’জন তাদের সারা রাত হোটেলের দুটি কক্ষে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছে ধর্ষকরা। এখন ওই ভিডিও প্রকাশসহ তাদের খুন ও গুম করার হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে ধর্ষকরা।
প্রশ্ন উঠেছে, দুই তরুণী যখন থানায় ঘুরছে মামলা করার জন্য, কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না, তখন অভিযুক্তরা পুলিশের একজন উপকমিশনারের রুমে সেলফি তুলছে কেন, কীভাবে? পুলিশ অবশ্য চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত মামলা নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করছে, পুলিশ কর্মকর্তার রুমে ঐ সেলফির ব্যাখ্যাটা অবশ্যই পুলিশের পক্ষ থেকে দিতে হবে।