সাইফুর রহমান সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮তম নির্বাচিত সভাপতি।
কথা উঠেছে ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাবস্থায় তার বিলাসবহুল বাড়ি করা নিয়ে। তিনি অবশ্য বলছেন যে প্রবাসী ভাইদের টাকায় বাড়িটির কাজ হয়েছে।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হওয়ার পর মোটামুটি সফলভাবে সংগঠনটি পরিচালনা করলেও কিছু বিতর্ক তাকে ঘিরে রয়েছে। এমনকি দলীয় ফোরামেও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের টাকাপয়শা এবং বিলাসী জীবনযাপনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এরপর ছাত্রলীগের নতুন কমিটির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে একটি অংশ। বিষয়টি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ফোরামে আলোচিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের সংগঠনটির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালী শুরুর আগে নতুন সম্মেলনের সময় সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী মার্চেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে।
এদিকে, বিভিন্ন পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ছাত্রলীগ সভাপতির বিত্তবৈভবের মালিক বনে যাওয়ার কাহিনী। বিশেষ করে ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার মাত্র ২ বছরের মাথায় বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির বিষয়টি নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ও সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিভিন্ন মহলে। মাদারীপুর সদরে সোহাগ কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নতুন একটি বাড়ি তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তিন তলা একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি তুলেছেন সোহাগের পরিবার। বাড়ির কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, মাদারীপুরের সবচে অভিজাত বাড়িটির মালিক এখন ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি তথা সাইফুর রহমান সোহাগ। ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পরই তিনি যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়ে যান বলে মনে করছেন অনেকে। ডুপ্লেক্স এই বাড়িটির পাশেই ছাত্রলীগ সভাপতির আগের টিনশেড বিল্ডিং এখনো রয়েছে। নতুন বাড়িটি দেখতে এলাকার মানুষরা এখন ভিড় করছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সাইফুর রহমান সোহাগের পিতা এইচ এম আবদুর রহমান একজন শিক্ষক এবং মা সমাজসেবী মর্জিনা খানমও এখন অবসরপ্রাপ্ত। তিনি পরিবার কল্যাণ সহকারী ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাইফুর রহমান সোহাগ ২য়। তার বড় ভাই মাহবুবুর রহমান সোহেল সুইডেনের লিনিয়াস ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেছেন। সুইডেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। সাইফুর রহমান সোহাগের আরেক ভাই আরিফ হোসেন সুমন সুইডেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
বাড়িটির বিষয়ে গুঞ্জন তৈরি বিষয়ে সোহাগ জানিয়েছেন, আমার দুই ভাই প্রবাসী এবং বাবা-মায়ের টাকায় এ বাড়ি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার আগেই বাড়ির কাজ শুরু হয়েছিল এবং শেষও হয়েছে। আমি এই বাড়ি তৈরিতে এক ব্যাগ সিমেন্টের টাকাও দেইনি।
সূত্র: অনলাইন