বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাছাড়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সারাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। একাত্তরের চেতনাকে বুকে ধারণ করে ধর্মান্ধ অপশক্তির বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার উদার্থ আহবান জানান।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীকে মিনি পাকিস্তান হিসেবে সারাদেশে পরিচিত হলেও জামাত-শিবিরের অপতৎপরতা থেমে থাকেনি এই উপজেলায়। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আওয়ামীলীগ নামধারী কিছু নেতাকর্মীর সাথে হাত মিলিয়ে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ চালাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে বাঁশখালীর উপজেলা প্রশাসনসহ সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের উপর জ্বালাও পোড়াও সহ যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তার সঠিক বিচার হয়নি। তাছাড়া এসব মামলায় জামায়াত শিবিরের সক্রিয় কর্মী ও ক্যাডারদের বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দায়ের করেছিল তৎকালীন থানা পুলিশ।
তাছাড়া ওই মামলা গুলো পুরোপুরি এখনো শেষ করতে না পারায় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই মামলা গুলোর অভিযোগপত্র দাখিল করার জন পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানান। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৫ টায় বাঁশখালী শিশু নিকেতন মাঠে অনুষ্ঠিত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে লেখক, সাংবাদিক ও চলচিত্র নির্মাতা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ উদ্দীন ফারুকের সঞ্চালনে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি বাঁশখালী শাখার আহবায়ক এডভোকেট সাজ্জাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সম্মেলনে উদ্ভোধক হিসেবে ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক শওকত বাঙালী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী নুর হোসেন, ডাঃ আশরাফ আলী, পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, চৌধুরী মোহাম্মদ নাজিম, আরিফুজ্জামান, মোঃ খোরশেদ আলম পাশা, মোঃ সিরাজ, মোঃ হোসেন প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি বাঁশখালী শাখার ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
সূত্র : সিটি নিউজ