জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ

follow-upnews
0 0

শনিবার রাতে বগুড়া শহরের মাটিডালী হাজীপাড়া এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় এসওএস হারমান মেইনার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাসুক ফেরদৌসকে।

এই খুনের প্রতিবাদে সোমবার শহরের সাতমাথায় এক সমাবেশে মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ তারার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমদাদ।

এই সমাবেশে জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনও ছিলেন।

এদিকে মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এই খুনের বিচার দাবি করেছেন।

মাসুকের বাবা এমদাদ দাবি করেন, মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং আরেকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিরোধ থেকে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

“মাটিডালি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অবৈধভাবে করা এবং ওই স্কুলের মধ্যে মুশফিকুর রহিমের পৃষ্ঠপোষকতায় আরেকটি স্কুল স্থাপন করে মাহবুব হামিদ ব্যক্তিগতভাবে অর্থ উপার্জন করছিলেন।

“সেই বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে আমি প্রতিবাদ করি। ওই ঘটনার কয়েকদিন পরেই মাসুককে খুন করা হল। আমার ছেলে খুনে মুশফিকুর রহিমের বাবা দায়ী।”

এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় মুশফিকের বাবা মাহবুব বলেন, “যে কোনো হত্যাকাণ্ড হলে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড বিষয়েও আমাকে নিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে।

“একজন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। যদি আমি অপরাধী হই তাহলে আমারও বিচার হবে; তবে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া ঠিক না।”

তবে মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে মাসুকের বাবা এমদাদুলের সঙ্গে বিরোধের কথা স্বীকার করেছেন মাহবুব হামিদ।

বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদুল হক সোমবার রাতে জানান, জাসদ নেতার ছেলে খুনে এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: বিডিনিউজ

Next Post

পদ্মা নদীর আয়ু কি ফুরিয়ে আসছে?

  পদ্মা নদীতে যেভাবে চর জেগেছে এবং সেসব চরে পোক্তভাবে বসতি গড়ে ‍উঠছে তাতে ধারণা করাই যায় যে পদ্মা নদী আদৌ টিকে থাকছে কিনা, অন্তত মাওয়া-কাওড়াকান্দি অংশে। কোনো জলাভূমি বা নদী থেকে তৈরি হওয়া যে প্রক্রিয়া সেটি পদ্মা নদীতে শুরু হয়েছে শুধু নয়, অনেকাংশে এগিয়েছে মনে হল। সেটি আরো ত্বরান্নিত […]
পদ্মার চর