জামালপুর প্রতিনিধি
গতকাল বিকেল ৪টায় জামালপুর জেলার জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনের পেছনে মো: জাহাঙ্গীর আলম (৫২) ও তাঁর স্ত্রী ফেন্সী বেগমের (৪৫) বাড়ীতে জমি দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় ইয়াসিন ও তার ভাই রুবেলের নেতৃত্বে অর্ধশত স্বসস্ত্র ক্যাডার বাহিনী অাসে।
তাঁরা জোরপূর্বক বাড়িটিতে প্রবেশ করে ওই দম্পতিকে বেদম মারধর করে। ফেন্সী বেগমকে মাটিতে শুইয়ে তলপেটে উপর্যুপরী লাথির আঘাতে রক্তাক্ত করে, চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে মারধর করে ও গায়ের কাপড় ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করে।
মো: জাহাঙ্গীর আলমকেও মারধর করে রক্তাক্ত করে। টাকাপয়সা, স্বর্ণালঙ্কার এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে। বাড়ীটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর আক্রমণকারীরা নিজেদেরকে হাসাপাতালে ভর্তি দেখিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করতে উদ্যত হয়।
আহত জাহাঙ্গীর আলম ও ফেন্সী বেগমকে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করে। তলপেটে লাথির আঘাতে ফেন্সী বেগমের রক্তপাত হতে থাকে এবং তিনি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যান।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, “জামালপুর সদর থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে আপোষ করার পরামর্শ দেন। তাকে মামলা নিতে জোর করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মামলা নিতে বাধ্য নই।’”
“জাহাঙ্গীর আলম তাঁর পৈতৃক বসতভিটায় স্ত্রীকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে হেলাল কমিশনারের ইন্ধনে আক্রমণকারী ইয়াসিন এবং তাঁর দলবল ভিত্তিহীনভাবে উঠানের জমি তাঁদের বলে জোরপূর্বক সেখানে পাকা স্থাপনা তৈরীর উদ্যোগ নেয়। ইয়াসিনকে বিবাদী করে এ বিষয়ে দেওয়ানী আদালতে ইনজাংশন মামলা করেন আমার মক্কেল বাড়ীওয়ালা জাহাঙ্গীর আলম।” জানিয়েছেন এডভোকেট মফিজুল ইসলাম।
অাজকের সন্ত্রাসী হামলাটি ওয়ার্ড কমিশনার হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম এবং তাঁর স্ত্রী ফেন্সি বেগম জানিয়েছেন ফলোআপনিউজের জামালপুর প্রতিনিধিকে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জামাল প্রতিনিধি আরো জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি ছেলে ঘটনাটি ভিডিও করছিল তাঁর মোবাইলে। কমিশনার ছেলেটির মোবাইল কেড়ে নিয়ে পানিতে ফেলে দেন।