সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি (বাদলেস)।
আইনজীবীদের মতো দলিল লেখকেরাও স্বাধীন পেশায় বাঁচেন। আইন পেশার অনেক আগে থেকেই ছিলো এই পেশা। কিন্তু প্রচুর মানুষের পেশা হলেও এই পেশার মানুষগুলো সবসময় অবহেলিত। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দুই লক্ষাধিক মানুষ এই পেশার সাথে জড়িত হলেও তাদের জন্য সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করেনি। এবার তাই আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামতে চাচ্ছেন দলিল লেখকেরা। তারা আর বঞ্চিত থাকতে চাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছি। কিন্তু দাবির বিষয়ে সরকারের উদাসীনতা আছে। আমাদের দাবিগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানাতে চাই। এ লক্ষ্যে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
দাবীসমূহ—
১. দলিল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি আধুনিকায়নের নামে দলিল লেখদের পেশাচ্যুত করা যাবে না।
২. সাবেক আইন মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতিশ্রুতি দলিল প্রতি সম্মানি ভাতা ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখক ব্যতিত অন্য কেউ দলিল লিখতে বা মুসাবিদা করতে পারবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৪. থানা ও জেলা কার্যালয়ে সরকারি খরচে দলিল লেখকদের বসার ও নামাজের স্থান নির্মাণ করে দিতে হবে।
৫. যেহেতু পক্ষগণের সরবরাহকৃত কাগজপত্রের ভিত্তিতে দলিল লেখা হয়, সেহেতু দলিল লেখকদের পেশাগত দলিল লেখা মুসাবিদাকারক হিসাবে দলিল লেখদের আসামী করা যাবে না।
৬. দলিল লেখক সমিতির থানা ও জেলা কমিটির সুপারিশ ব্যতিত অনভিজ্ঞদের দলিল লেখার লাইসেন্স প্রদান করা যাবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারী করতে হবে।
৭. দলিল লেখক কাউন্সিল গঠনের অনুমতি দিতে হবে।
প্রাসঙ্গিক সাক্ষাৎকারঃ