অনেক আগে থেকেই খুলনা জেলা পরিষদ ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তিনজন ব্যক্তি সমগ্র প্রতিষ্ঠানটিকে একচ্ছত্রভাবে চালাচ্ছেন। কৌশল করে পরিষদ সদস্যদের কোনো ভূমিকা রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। খুব শীঘ্রই খুলনা জেলা পরিষদের দুর্নীতির সমগ্র চিত্র তুলে ধরা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পরিষদের একজন সদস্য এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, দু’জন কর্মকর্তা এবং একজন নির্বাচিত ব্যক্তি জেলা পরিষদের লাগামহীনভাবে অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। সঠিক তদন্ত হলে জেলা পরিষদের অনেক বড় বড় দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে তিনি দাবী করেন। উল্লেখ্য, খুলনা জেলা পরিষদে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হারুনুর রশীদ। জনাব হারুনুর রশীদ বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন। হারুনুর রশীদ দ্বিতীয় মেয়াদের খুলনা জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করছেন, এর আগে তিনি খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে খুলনা জেলা পরিষদের বাজেট ১২০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছর থেকেই খুলনা জেলা পরিষদ বড় বাজেট পেয়ে আসছে। এছাড়া খুলনা জেলা পরিষদের অধীনে মূল্যবান স্থাবর সম্পদ রয়েছে। লিজ দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, যেগুলো নিয়ে নয়ছয় চলে সিমাহীন।
শেখ হারুনুর রশিদ ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে খুলনা -১ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালেও খুলনা -১ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে তিনি নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি মহান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ ছিলেন।
এ সংক্রান্ত কয়েকটি সংবাদঃ
খুলনা জেলা পরিষদের জমি ইজারা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
খুলনা জেলা পরিষদের দরপত্রে অনিয়ম খতিয়ে দেখছে দুদক
খুলনা জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান