মোল্লাহাটে স্বামীকে শিরচ্ছেদ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ধর্ষকের ধারালো তলোয়ারের কোপে সংখ্যালঘু ধর্ষিতার পা কর্তন হয়েছে। উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের শোলাবাড়িয়া গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারে লোমহর্ষক ওই ঘটনার পর উক্ত পরিবারের সকলকে হত্যার হুমকি দিয়ে দীর্ঘ পনের দিন ঘরে বন্দী করে রাখে ধর্ষক সোবাহান মোল্লা। এমনকি আহত গৃহবধূকে হাসপাতালে নিতেও দেয়নি। একপর্যায়ে বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা উক্ত ভিকটিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নারকীয় এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বৃহস্পতিবার রাতে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। জানা যায়, শোলাবাড়িয়া গ্রামের সোবাহান মোল্লা বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী সংখ্যালঘু এক পরিবারের সকলকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই পরিবারের গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। লোকলজ্জা ও জীবনের ভয়ে উক্ত ঘটনা গোপন রেখে উক্ত সোবাহানকে কৌশলে নিবারনের চেষ্টা করে উক্ত গৃহবধূ।
একপর্যায়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উক্ত সোবাহান মোল্লা ওই বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে তলোয়ার দেখিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। নতুবা সকলকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। তখন বাধ্য হয়ে গৃহবধূ ঘরের দরজা খুলে দেয়। বেপরোয়া সোবাহান গৃহবধূকে আবারও ধর্ষণ করতে চায়। তখন তার স্বামী বাধা দিলে তাৎক্ষণিক তলোয়ার দিয়ে গৃহকর্তাকে ধাওয়া করে শিরচ্ছেদের উদ্দেশ্যে কোপ দেয়। এ সময় স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে তলোয়ারের কোপে গৃহবধূর ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পৈশাচিক এ ঘটনার পরও ঘটনাটি চাপা দেয়ার জন্য গৃহবধূকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয় এবং অস্ত্রের মুখে হুমকি দিয়ে ওই পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখে। পরে এক হাতুড়ে চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে এনে সেলাই এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে পা আটকে দেয়। এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ওসি বলেন, তিনি মাত্র অভিযোগ পেয়েছেন এবং ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। যে কোন মূল্যে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনবেন বলেও তিনি জানান।
সংবাদ: জনকণ্ঠ