ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এখন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার কন্ট্রোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিভিল ডিপার্টমেন্টের ইনস্ট্রাক্টর রতন চন্দ্র পাল।
নরসিংদী পলিটেকনিকের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক রতন চন্দ্র পাল মেরে এভাবে আহত করেন একই প্রতিষ্ঠানের ফুড টেকিনোলজি বিভাগের শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু দাসকে।
বিষয়টি কৃষ্ণেন্দু অত্র ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মহোদয় প্রকৌশলী মো: ফরহাদ হোসেন চৌধুরীকে জানায়। একইসাথে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি নরসিংদী থানায় একটি জিডি করেন বলে জানা যায়।
কৃষ্ণেন্দু দাস ১১/০৬/২০১৭ তারিখে চিকিৎসা নেয়ার পর ১২/০৬/২০১৭ তারিখে কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ করেন।
এর মধ্যে অধ্যক্ষ মহোদয় কৃষ্ণেন্দু দাসকে সতর্ক করে নোটিশ দেয়। কিন্তু তার অাগে মারধরকারী ঐ শিক্ষকের কোনো বিচারের ব্যবস্থা তিনি করেননি, বিষয়টি তিনি অধিদপ্তরে জানাননি বলেও জানা যায়।
কৃষ্ণেন্দু দাসকে সতর্ক করে নোটিশটি অধ্যক্ষ মহোদয় আজ জারি করেন।
মি. কৃষ্ণেন্দু দাস ক্ষোভের সাথে বলেন, “আমি নবাগত শিক্ষক বলে কাউকে পাশে পাচ্ছি না, তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কোনোভাবে ছাড় দিতে আমি চাই না, হল ছেড়ে দেয়ার পক্ষপাতি আমি নই, কাউকে নম্বর বাড়িয়ে দিতেও আমি পারব না, ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে। আমি একজন শিক্ষক, আমাকে কীভাবে আরেকজন শিক্ষক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে এভাবে মারতে পারে, যেখানে অন্য শিক্ষকরাও ছিলেন।”
ঘটনাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং (আর.এ.সি) টেকনোলজি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাকটর জনাব আলমগীর হোসেনকে। তাকে ফোন করলে বেশি রাতে (১১.২৮) তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে শিক্ষক রতন পালের সাথে কথা বলা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।