ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের কক্ষ থেকে ৩০/১২/২০১৭ তারিখে যে নারী প্রভাষককে উদ্ধার করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে যে শিক্ষকের কক্ষে তাকে পাওয়া গিয়েছিল, সেই সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ফলে সুধী মহল থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সহকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেহতাব খানম। তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক।”
উক্ত ঘটনার জন্য গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাকে এক বছরের জন্য বিভাগের সকল ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
বিভাগের নেওয়া এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে অভিযুক্ত প্রভাষক বলেন, “যে অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা তো এখনও প্রমাণিত নয়।”
সহকারী অধ্যাপকের স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তার স্বামীর সঙ্গে ওই প্রভাষকের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ রয়েছে।
এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, “প্রভাষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়েছ।”
তিনি বলেন, “ঘটনার সময় সাইকোলোজি বিভাগের ওই শিক্ষকের স্ত্রী ছাড়া অন্য যারা ছিলেন, তাদের (মিস্ত্রি ও অন্যান্য শিক্ষার্থী) কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়। গত অগাস্টেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাও বিবেচনায় নেওয়া হয়।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের তৃতীয় তলায় মনোবিজ্ঞান বিভাগের ওই সহকারী অধ্যাপকের কক্ষের তালা ভেঙে ওই নারী প্রভাষককে উদ্ধার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর।
তবে ওই প্রভাষক বলেন, সহকারী অধ্যাপকের অধীনে গবেষণার কাজ করছিলেন তিনি। সেদিন কক্ষের বাইরে সহকারী অধ্যাপকের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়ার পর বাইরে থেকে কক্ষে তালা দেওয়া হলে ভেতরে আটকা পড়েছিলেন বলে জানান অভিযুক্ত প্রভাষক।
এ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান জানতে চাইলে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, “সহকারী প্রক্টর আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান ওই দিন কক্ষের তালা ভেঙে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করেছিলেন। উনি একটি প্রতিবেদন দেবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”