বাংলাদেশে স্বর্ণের ব্যবসা অনেকটাই অন্ধকার গলি পথে পরিচালিত। সরকারের কোনো কতৃপক্ষই স্বর্ণের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলে না। তারপরও স্বর্ণের মজুদের একটি মোটামটি হিসাব সরকারের কাছে আছে।
প্রশ্ন হচ্ছে— স্বর্ণ ব্যবসায় ভ্যাটের হিসেবটি কীভাবে হয়? অন্যান্য ব্যবসার মতো এক্ষেত্রেও ক্রেতাই মূলত ভ্যাট দিয়ে থাকেন। এনবিআর-এর একজন কর্মকর্তা জানাচ্ছেন স্বর্ণের দাম ভ্যাট যোগ করেই নির্ধারণ করা হয়। ফলে ক্রেতারা ভ্যাট দিচ্ছেন ধরে নেওয়া যায়। কিন্ত ক্রয় রশিদে ভ্যাটের উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি গোলমেলে। পাশের দেশ ভারতে বিষয়টি এখন খুবই স্পষ্ট হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে কাস্টমস্ও খুশি স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও খুশি তো অবশ্যই। ঠকছে মলত সরকার তথা জনগণ।
বাগেরহাটে স্বর্ণ ট্রেডিং-এর সাথে জড়িত প্রধান দুই ব্যবসায়ী এবং বাজস নেতা নিলয় ভদ্র এবং শ্যামল কুমার সরকার— ভ্যাট ফাঁকি, কর ফাঁকি সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরদ্ধে। স্বর্ণের ব্যবসার পাশাপাশি নিলয় ভদ্র একইসাথে ‘নিলয় ভদ্র’ নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভক্ত কন্ট্রাকটর। বাগেরহাটের প্রভাবশালী এ ব্যবসায়ীর সামাজিক কাজে অবদান না থাকলেও রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
সম্পর্কিত সংবাদ