জুন, ২০২৩-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২,৩০,৫০৬ জন। এজন্য রাষ্ট্রের প্রতি মাসে খরচ হয় ৩৭৮,৯৩,৭১,৯০৬ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে যে, এই সংখ্যা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনায় অনেক বেশি বা যথাযথ নয়। অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যেমন তালিকায় অন্তুর্ভুক্ত হতে পারেননি, আবার অনেক তদবির করে অবৈধভাবে নিজের নাম গেজেটভুক্ত করেছেন।
নবনিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন সরকার এ তালিকা যাচাই বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোপন সূত্রের বরাতে ফলোআপ নিউজ জানতে পেরেছে— এ সংখ্যা অনেক কমিয়ে, এমনকি ৪৫০০০-এ নামিয়ে আনা হতে পারে।
একইসাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীরপ্রতীক বলেছেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত হলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া পরিচয় দিয়ে, জাল সনদ নিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি এতদিন রাষ্ট্রের ভাতাও তারা ভোগ করেছেন। মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই করবে। রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার জন্য তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।