ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তরপত্র সরবরাহ কাজে সহায়তার অভিযোগে একজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ ২২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের অদূরের একটি স্থানে ৫ থেকে ৬ জন মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক ও মসজিদের এক ইমামকে হতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তারা উত্তরপত্র তৈরী করছিল। মো: শাহ পরাণ (২২) ও পেশ ইমাম, যিনি শুভপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম এবং একটি স্থানীয় মাদ্রাসার (কুরাখাল আবেদা হক মহিলা মাদ্রাসা) খণ্ডকালীন শিক্ষক, এ ২জনকে কে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। অন্যরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
পরে ধৃত অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে তারা একটি প্রশ্ন ফাঁসের চক্র এবং এর মূল হোতা মো: মহিউদ্দিন (২০) ও পেশ ইমাম। মহিউদ্দিন জয়নুদ্দিনবাড়ী পাঞ্চেকানা মসজিদের ইমাম ও বাগমারা আলিয়া মাদ্রাস্রার খণ্ডকালীন শিক্ষক।
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মো: শাহ পরাণ কে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন-১৯৮০ অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইমদাদুল হক তালুকদার।
পরবর্তীতে মূল হোতা কথিত মহিউদ্দিন ও তার আরেক সহযোগী মশিউর (২৫) সহ আরো ৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), দেবিদ্বার কে নির্দেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা শিক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বাদী হয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দেবিদ্বার থানায়।
ঘটনার সময় নিন্মোক্ত প্রমাণাদি জব্দ করা হয়:
১) একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন (প্রশ্নপত্রের ছবি সংবলিত);
২) ৩পাতার হাতে লেখা উত্তরপত্র (আরবি ১ম পত্রের);
৩) একটি ইবতেদায়ী পরীক্ষার গাইড বই।
উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রটির বিরুদ্ধে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেয়ার ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দেবিদ্বার মহোদয়ের সাথে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে ইমদাদুল হক তালুকদার।
উল্লেখ্য, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, ভিজিলেন্স টিমের সদস্য জনাব আ: মজিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার ও বিটিসিএল-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব রিয়াজ আহমেদ।
কুমিল্লা প্রতিনিধি