মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ’র নির্দেশে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রী জীবন্ত দগ্ধ, শিশুকে জবাই করে হত্যা করে মসজিদের ইমাম -এসব কী বার্তা দিচ্ছে সমাজকে?

ফেনি

খবর-১

ফেনীর সোনাগাজীতে এক পরীক্ষার্থীর (নুসরাত) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় চারজন বোরকা পরা লোক। জীবন্ত দগ্ধ নুসরাত এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

খবর-২

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার এক ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মাদরাসাটির অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। 

খবর-৪

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টাকারী মাদরাসার সেই অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মিছিল-মানববন্ধন!

 

খবর-৫

নুসরাতকে বাঁচানো গেল না।

ফেনি
ছবি-১: ঘাতক, ‘ধর্ষক’ নারী নির্যাতনকারী, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলা ’র মুক্তির দাবীতে মিছিল। ছবি-২: জীবন্ত দগ্ধ নুসরাতের মা ও ভাইয়ের আহাজারি। ছবি-৩: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলা। ছবি-৫: রাজধানীর ডেমরার ডগাইর নতুনপাড়ার নুর-ই-আয়েশা জামে মসজিদের ইমাম হাদি গলা কেটে হত্যা করে মক্তবে যাওয়া শিশু মনির হোসেনকে।

ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া: 

জাকিয়া সুলতানা মুক্ত

গোপালগঞ্জ

আফরিন শরীফ বীথি

ঢাকা

প্রদ্যোত 

প্রদ্যোত

হিরন্ময় রায়

ছবি দুটোর মধ্যে একটু পার্থক্য খোজার চেষ্টা করুন৷ একজন অপরাধীকে বাঁচানোর আন্দোলনে লোকসমাগম বেশী কিন্ত একজন অপরাধীকে সাজার দাবির আন্দোলনে লোক সংখ্যা কম। 😥😥😥 সেলুকাস

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কতৃক পুড়িয়ে হত্যা

সাব্বির আহমেদ

একটা নরপশুর মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে মানুষ – এও সম্ভব? পা থেকে মাথা কাপড় দিয়ে ঢেকে পুটুলু বানিয়ে রাখলে জগতের আলো পাবে কী করে!

তানিয়া ইসরাত

ধর্ষক, মিরজাফর, সমাজের কিট, বিষাক্ত গোখরা,পাগলা কুত্তা, চামার,বেজন্মা ——এবং শুয়োর প্রেমিরা, ফ্যান, ভক্ত, পরবর্তি ধর্ষক

ধর্ষক+খুনি সিরাজ মোল্লার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হলে,দেশে আবার একটা ৭১ আসবে,শিউর

ঢাকা

প্রতাপ শেখর মোহান্ত

নুসরাতকে কবর দেওয়ার সময় যেন এসব ধর্মগুলোরও কবর রচিত হয়ে যায়!
আধুনিক বিশ্বে ধর্মই প্রধান সমস্যা। এ বিষয়ে কারো দ্বীমত থাকলে ভাগো …

অলকা দাস

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল ফেনীর মেয়ে নুসরাত। আমরা শোকাহত।
নুসরাতের মৃত্যুর জন্য দায়ী শয়তানদের শাস্তি নিশ্চিত হোক।।
তুই চিন্তা করিসনে মা। ওরা তোর থেকে হাজার কোটি গুণ কষ্ট পেয়ে দোজখে যাবে। আর কোটি কোটি মানুষের দোয়া-আশীর্বাদ তোর সাথে। ওখানে ভালো থাকিস মা।

ফরিদা আর্ভি

কি ভয়াবহ মৌলবাদের চেহারা, কি ভয়ঙ্কর এলাকাবাসী, প্রিয় বাংলাদেশ প্রিয় দেশবাসী 😔😔😔!

যুক্তরাষ্ট্র

 

আফসান চৌধুরী

নুসরাত হত্যা


জানা গেছে, অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলা জামায়াতের একজন রুকন ছিলেন। ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মো. সামছুদ্দিন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলাকে বিভিন্ন অপকর্মের জন্য ২০১৬ সালে জামায়াত থেকে বহিস্কার করা হয়েছে, তিনি বর্তমানে আমাদের কোনো সদস্য নন।

নুসরাতের লেখা চিঠি উদ্ধার

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাফির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠিতে দিন তারিখ লেখা না থাকলেও চিঠির বিষয়বস্তু বিবেচনায় এটি কয়েকদিন আগের লেখা বলে মনে করছে তদন্তকারী সূত্র। 

চিঠিতে নুসরাত জাহান রাফি তার সহপাঠীদের কাছে অধ্যক্ষ দ্বারা যৌন হয়রানির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অধ্যক্ষের শাস্তি কামনা করে।

পুলিশ জানায়, তার পড়ার টেবিলের খাতায় দুই পাতার ওই চিঠি তামান্না ও সাথী নামে দুই বান্ধবীকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছে নুসরাত রাফি। ওই চিঠিতে রাফি আত্মহত্যা করবে না বলেও উল্লেখ করে। 

তবে যৌন হয়রানির ঘটনার পর সিরাজ উদদৌলা গ্রেফতার হলে তার মুক্তির দাবির মিছিলে বান্ধবীদের অংশগ্রহণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাফি। তাকে নিয়ে বান্ধবীদের বিভিন্ন কটূক্তিতেও মর্মাহত হওয়ার কথা চিঠিতে লিখেছিলো সে।

চিঠিতে নুসরাত রাফি লিখেছেন,

“তামান্না, সাথী। তোরা আমার বোনের মতো এবং বোনই। ঔ দিন তামান্না আমায় বলেছিল, আমি নাকি নাটক করতেছি। তোর সামনেই বললো। আরো কি কি বললো, আর তুই নাকি নিশাতকে বলেছিস আমরা খারাপ মেয়ে। বোন প্রেম করলে কি সে খারাপ ???”

“…আমি লড়বো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। আমি প্রথমে যে ভুলটা করেছি আত্মহত্যা করতে গিয়ে। সেই ভুলটা দ্বিতীয়বার করবো না। মরে যাওয়া মানে তো হেরে যাওয়া। আমি মরবো না, আমি বাঁচবো। আমি তাকে শাস্তি দেবো। যে আমায় কষ্ট দিয়েছে। আমি তাকে এমন শাস্তি দেবো যে, তাকে দেখে অন্যরা শিক্ষা নিবে। আমি তাকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেবো। ইনশাআল্লাহ।”