সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সবধরনের কোটা বাতিলের বিষয় আন্দোলন হয়েছে অনেক, পাশাপাশি রাজাকারদের উত্তরসূরিদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বিধিনিষিধ দিয়ে আইন পাসের দাবিও উঠেছে। দাবি দুটি একই প্লাটফরম থেকে না ওঠায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে অনেকে।
বোদ্ধাদের দাবী, যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে চাচ্ছে, তাঁরা একইসাথে রাজাকারদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা চাচ্ছে না কেন? তাহলে তাঁদের দাবীর ন্যায্যতার দিকটি ভেবে দেখা যেত।
ভিয়েতনাম যুদ্ধে পর দেশদ্রোহীদের তিন প্রজন্মের অধিকার সংকুচিত করে আইন করা হয়েছিল জানিয়ে বাংলাদেশেও এমন আইন করার দাবি উঠেছে। আর এজন্য রাজাকারদের তালিকা করার দাবি জানানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য নানা সময় আন্দোলনে নেমে ব্যর্থ হওয়ার পর কোটা সংস্কারের দাবিতে সব মিলিয়ে কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আসার কথা বলে আন্দোলন শুরু হয়। আর সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর ১২ এপ্রিল সংসদে দেয়া ভাষণে কোটা থাকার দরকার নাই বলে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর অবশ্য সিদ্ধান্তটি আদালতের বলে জানান।
এই পদ্ধতি চালু হলে নারী, পশ্চাদপদ জেলার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোও সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধার বাইরে চলে যাবে।
মুক্তিযোদ্ধা গণজমায়েতে বিভিন্ন সময়ে বক্তারা বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেক অপমানসূচক কথা বলা হয়েছে।
স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বন্ধে রাজাকারদের সন্তানরা যেন সরকারি চাকরি না পায় সে ব্যবস্থা করতে সরকারকে তাগিদ দেন বক্তারা। তবে এই দাবিটি কোটাবিরোধীদের পক্ষ থেকে না ওঠায় তাঁরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।