বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার রঘুদত্তকাঠী গ্রামের একটি গলি পথ এটি। কোনো হিসেবেই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু, গুরুত্ব পাচ্ছে এ কারণে, কারণ, ১৯৭১ সালে এ বাড়িতে বসেছিল রাজাকারদের ক্যাম্প, রাজাকাররা ফেলে যাওয়া বড় এ বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
বাড়ির মালিক গৌর হরি দাস তখন পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছিলেন। ফিরে এসে শুধু ঘরটি পেয়েছেন, তাও অনেক জানালা দরজা ছাড়া। গোয়াল ভরা গরু, থালা বাসন, ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু নিয়ে যায় রাজাকার এবং লুটেরারা।
যেহেতু গ্রামে এটাই ছিল সবচে বড় বাড়ি, তাই রাজাকাররা আবাসস্থল হিসেবে এই বাড়িটিকে বেছে নিয়েছিল। সেদিক থেকে বাড়িটি গুরুত্বপূর্ণ, তাছাড়া বাবু গৌর হরি দাস ছিলেন একজন সমাজ সেবক, সবসময় তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন, মানুষের জন্য কাজ করেছেন।
সার্বিক বিবেচনায় এ বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটুকু হওয়া খুবই প্রাসঙ্গিক, ইটের সোলিং হিসেবে সেটি পাসও হয়েছিল, কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে অন্তত দেড়শো ফুট বাকি রেখে বাড়ির কাজ শেষে করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বললে, গৌর হরি দাসের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা চপলা রাণী দাস বলেন, “আমরা কিছুই জানি না, বৃদ্ধ বয়সে এসব খোঁজ নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভবও নয়।”