শিক্ষামন্ত্রীর পিও মোহাম্মদ মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদে অর্থ যোগানের অভিযোগ

শিক্ষামন্ত্রীর পিও
একসময়ের কমিউনিস্ট শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের পিও মোহাম্মদ মোতালেব হোসেন নিখোঁজের দুইদিন পর আইনশৃংঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ হেফাজতে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শিক্ষামন্ত্রীর পিও

তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী হিসেবে ২০০৯ সালে শিক্ষামন্ত্রী তাকে পারসোনাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর থেকেই জিপিএ ফাইভ বাণিজ্য, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের নিবন্ধন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের বদলী, সরকারি-বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বদলী বাণিজ্য আর মন্ত্রণালয়ে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে অঢেল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী যদিও বলেছেন তার পিও দুর্নীতিবাজ কিনা তিনি তা জানেন না। তবুও এ নিয়ে তার বক্তব্য শুধু যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তাই নয়, নানা রহস্যেও জন্ম দিয়েছে।

একজন পারসোনাল অফিসার হিসেবে মোতালেব নয় বছর ধরে মন্ত্রীর ছায়ায় থেকে যে ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন যে বিত্তবৈভব গড়েছেন তা ছিল ওপেনসিক্রেট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘুষবাণিজ্যের এই বরপুত্র নিখোঁজ হলে শিক্ষামন্ত্রী তার সন্ধান করেন।

অনেকে মনে করেন, আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। ঝালকাঠির নলছিটিতে মোতালেবের পরিবার বিএনপি-জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও তার পিতা একজন সাধারণ কৃষক। মোতালেব বসিলায় পাঁচতলার আলিশান বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে এখানে জঙ্গীদের আনাগোনা ছিল। জঙ্গীদের অবৈধ অর্থের পৃষ্টপোষকতাও দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক সভায় মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের ঢালাওভাবে চোর বলেছিলেন।

এই ঘটনার একমাস পার হতে না হতেই তার বিশ্বস্ত ও আস্থাশীল দীর্ঘদিনের পারসোনাল অফিসার মোতালেবের গ্রেপ্তার ও চাঞ্চল্যকর তথ্য শেষপর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর মন্ত্রীত্বকে ঝাকুনি দেয় কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী কঠোর গোপনীয়তা রাখছে।