শিশু জিহাদ উদ্ধার হয়েছিলো ২৩ ঘণ্টা পরে, তানোরে গভীর গর্তে পড়া শিশু সাজিদ উদ্ধার হয়নি ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও

শিশু সাজিদ

২০১৪ সালের ঢাকার শাহজাহানপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার রাজশাহীর তানোরেঃ শিশু জিহাদ ২৩ ঘণ্টা পরে উদ্ধার হয়েছিলো মৃত। সাজিদও কি একই পথে?

বাংলাদেশ কোন পথে?

২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠের কাছে রেলওয়ের পানির পাম্পের পাইপের মধ্যে থেকে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করা হয়েছিলো পড়ে যাওয়ার ২৩ ঘণ্টা পরে। কোনো শিক্ষাই যেমন আমরা নিই না, এই ঘটনা থেকেও বাংলাদেশ কোনো শিক্ষা নেয়নি। এবার এরকম অরক্ষিত গর্তে পড়ে গেছে দুই বছরের শিশু সাজিদ।

একই ধরনের ঘটনা এবার ঘটেছে রাজশাহীর তানোরে। দুই বছরের শিশু সাজিদকে (স্বাধীন) উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল (১০ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা একটার দিকে তানোর উপজেলার কোয়েল হাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ নামের দুই বছরের একটি শিশু গভীর গর্তে পড়ে যায়। সে কোয়েল হাট পূর্বপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ রাকিবের ছেলে। মায়ের পিছন পিছন যাচ্ছিলো শিশুটি। আচমকা উপরে নাড়াকুটো পড়ে থাকা ৮/১০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি গর্তে পড়ে যায় শিশুটি।

তানোর, রাজশাহী
শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্ঠা।

কোয়েল হাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। গর্তটি অরক্ষিত থাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

শিশু জিহাদ
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার শাহজাহানপুরে একটি অরক্ষিত বোরহোল পাইপে পড়ে গিয়েছিলো শিশু জিহাদ।

২০১৪ সালে জিহাদ ঢাকার রেলওয়ে কলোনির যে বোরহোল পাইপে পড়েছিলো সেটি ছিলো ২৮০ ফুট গর্তের। ব্যাস ছিলো ১৬ ইঞ্চি। দমকল বাহিনী উদ্ধার অভিযানে বিফল হয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ার পর স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে।

তানোরের শিশু সাজিদ এখনো উদ্ধার হয়নি। ফায়ার সার্ভিস গর্তের পাশে এক্সকেভেটর দিয়ে খুড়ে ৩৫ ফিট পর্যন্ত পৌঁছালেও শিশুটির কোনো হদিস এখনো মেলেনি।

সম্পর্কিত সংবাদ

এখনো শিশু সাজিদের খোঁজ নেই, ৪৫ ফুটের নিচে ক্যামেরাও যাচ্ছে না

দেশীয় প্রযুক্তিতে যেভাবে উদ্ধার হলো জিহাদ

কূপ থেকে উদ্ধার করা শিশু জিহাদকে মৃত ঘোষণা