তিন সন্তানের জনক ম্যানচেস্টারের এক মুসলিম বাবাকে সন্তানদের উপর ইসলাম ধর্ম চাপিয়ে না দেয়ার আদেশ দিয়েছেন ম্যানচেস্টারের পারিবারিক আদালত। সেই বাবার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সবার বয়সই ১৬ বছরের নিচে।
২০১১ সাল থেকে এই সব শিশুকে খ্রিস্টান পরিবারের যত্নে রাখা হয়েছে। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইবার সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন তাদের বাবা। এরপর ২০১৫ সালে তিনি একটি আদালতের নথিতে সই করেন, সেখানে তিনি নিশ্চিত করেন যে তিনি আর ইসলাম বিষয়ে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলবেন না।
এরপর থেকে তার উপরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়। তবে সেখানে শুধু একটি শর্ত থাকে তিনি কোনো চাপ তৈরি করা ছাড়া সন্তানদের সঙ্গে ধর্ম বিষয়ে কথা বলবেন।
সন্তানদের বাবার দাবি, তিনি ধর্মান্ধতার শিকার। কিন্তু ম্যানচেষ্টারের সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তাদের চাওয়া হচ্ছে শিশুগুলোর স্বাভাবিক বিকাশ। তাদের মায়ের মৃত্যুর পর তাদের সেখানকার ফস্টার কেয়ার ফ্যামিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে তাদের মাও জানিয়েছিলেন, তার সস্তানেরা নিজেদের মুসলিম মনে করে না। এর কিছুদিন পরেই তিনি মারা যান।
আদালতের তথ্য মতে, তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও ভালো সম্পর্ক ছিলো না এবং একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো। এর আগে পারিবারিক সহিংসতা ও সমাজকর্মীর উপর হাত তোলার অভিযোগ উঠে সেই বাবার বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সেটা অস্বীকার করেন।
সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য এই পর্যন্ত ১৩ দফায় চেষ্টা চালিয়েছেন এই বাবা। তবে সর্বশেষ শুনানিতে, তাকে সাবধান করা হয় সন্তানদের ইসলাম বিষয়ে কোনো ধরনের চাপ না দেওয়ার জন্য।