সবিতা রাণী দেকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলা হয় সেপটিক ট্যাংকে, অভিযোগ স্বামীর

অভয়নগর

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রাম থেকে নিখোঁজের এক দিন পর সবিতা রানী দে (৪৮) নামের নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মৃত ওই নারীর প্রতিবেশী নিয়ামুল হোসেনের বাড়ির টেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৃত সবিতা রাণী দে ওই গ্রামের মিলন কুমার দের স্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।

এলাকাবাসি ও পুলিশ জানায়, সবিতা রাণী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে গরুর ঘাস সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে পুলিশ মিলন কুমার দের বাড়িতে যায়। এ সময় পুলিশ ও এলাকাবাসী সন্দেহজনক এলাকায় খোঁজ করতে থাকে।

একপর্যায়ে প্রতিবেশী নিয়ামুলের পোল্ট্রি ফার্মের পাশে বেশকিছু আলামত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। সেই সূত্র ধরে বাগান ও আশপাশে সবিতা রাণীর মরদেহের খোঁজ করতে শুরু করে। পরে প্রতিবেশী নিয়ামুলের বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে সবিতা রাণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারে পর নিয়ামুল হোসেন পালিয়ে যায়।

এদিকে সবিতা রানী মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী মিলন কুমার দে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন নিয়ামুল হোসেন (২৫), তার পিতা রমজান আলী ও চাচা ইউনুছ হোসেন। এরমধ্যে রমজান ও ইউনুছ হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন।

অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, সবিতা রাণী দেকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।