খুলনার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ড্যাংমারি গ্রামে সুন্দরবনের ড্যাংমারি নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্যা রিসোর্ট। অবৈধ এই রিসোর্টগুলো নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জংগলবাড়ি, বনবাস, সোনারতরী —এরকম বিভিন্ন নামে রিসোর্টগুলো গড়ে উঠেছে। কেন, কী কারণে এবং কীভাবে এই রিসোর্টগুলো এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠলো তা বুঝতে পারছেন না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজেও, যদিও তিনিই রিসোর্টগুলোর জন্য ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় বলেন, কেউ ব্যবসা করতে চাইলে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া আমার দায়িত্ব। অন্যান্য বিষয়গুলো সামাজিকভাবে আমি দেখতে পারি, কিন্তু আইনগতভাবে খুব বেশি কিছু আমার করার নেই। এক্ষেত্রে প্রশাসন এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগগুলো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে। তবে এলাকাবাসী রিসোর্টগুলো নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ করলে আমি সেগুলো বিবেচনায় নেবো। এখনো সেরকম কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। রিসোর্টগুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জংগলবাড়ি রিসোর্টের স্বত্তাধিকারী বলেন, কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটি প্রশাসন দেখবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরাবতি রিসোর্টের একজন মালিক জানান— আমরা এই রিসোর্টগুলো থেকে প্রশাসনকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা মাসোহারা দিই। নির্মাণাধীন রিসোর্ট সোনারতরী-এর স্বত্তাধিকারী হারুণ-আর-রশিদ জানান, তিনি তার পৈতৃক জায়গায় রিসোর্ট নির্মাণ করছেন। ফলে এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ থাকা উচিৎ নয় বলে তিনি মনে করেন। তবে ফলোআপ নিউজ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে— নির্মাণাধীন রিসোর্টের জায়গাটি তার পৈতৃক সম্পত্তি নয়। অংশবিশেষ তিনি কিনেছেন এবং অংশবিশেষ এটি সরকারি সম্পত্তি। অন্যদিকে পৈতৃক সম্পত্তি হলেও সংরক্ষিত বন থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বাণিজ্যিক কোনো স্থাপনা বিনির্মাণ অবৈধ। একইসাথে তার রিসোর্টে কেডিএ-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ারের বিনিয়োগ আছে বলে তিনি যে দাবী করেছেন ফলোআপ নিউজ ইঞ্জিনিয়ার সাবিরুল আলমের সাথে কথা বলে তার কোনো সত্যতা পায়নি। তবে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান অব্য্যাহত আছে।