যেকোনো ভালো ঢকআলা দোকানেও আপনি স্যামসং নামে মোবাইলের চার্জার পাবেন। দামও আটশো এক হাজার টাকা। এমনকি গ্যারান্টিও দেওয়া হচ্ছে এগুলোতে। কিন্তু নিশ্চিতভাবে চার্জারগুলো নকল। কারণ, স্যামসং মোবাইল ফোন দোকানে বিক্রি করলেও চার্জার বা কোনো ধরনের মোবাইল একসেসরিস তারা দোকানে বিক্রি করে না। এগুলোতে শুধুমাত্র স্যামসং-এর কাস্টমার কেয়ারগুলোতে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে স্যামসাং বাংলাদেশ-এর সাথে ফলোআপ নিউজ কথা বলেছে। স্যামসং বাংলাদেশ বলেছে নকল ঠেকানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাইতে পারে শুধু। বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ভোক্তা অধিকার থেকে বলা হচ্ছে— অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অন্যথায় অনেক অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ভিড়ে সিমীত জনবল নিয়ে এ কাজ করা তাদের পক্ষে কঠিন। কিন্তু ফলোআপ নিউজ-এর অনুসন্ধান বলছে চার্জার এবং মোবাইলের চার্জার বা ডাটা ক্যাবল ইস্যুতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বাজারে এগুলোর দাম নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো, দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের পণ্য।
খুলনার শিববাড়িতে অবস্থিত স্যামসাং-এর অনুমোদিত আউটলেটের মালিক মহিদুল ইসলাম বলছেন, স্যামসাং-এর চার্জার তারা বিক্রি করেন। স্যামসাং-এর প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে তানভির ইসলামও একই কথা বলছেন, অর্থাৎ স্যামসাং-এর মোবাইল একসেসরিস বাইরে বিক্রি হতে পারে। কিন্তু ফলোআপ নিউজ স্যামসাং বাংলাদেশ উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা বলছেন, স্যামসাং-এর শুধু নতুন মোবাইলের সাথে আউটলেটে চার্জার বিক্রি হতে পারে। আলাদাভাবে চার্জার বিক্রি হওয়ার সুযোগ নেই। বাজারে স্যামসাং নামে এ জাতীয় যা কিছু আছে সবই নকল। ‘আপনারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন’ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা ব্যর্খ হয়েছি।
সস্পর্কিত সংবাদ
১. স্যামসাং, সনি, এইচটিসির নকল স্মার্টফোন বাজারে
২. স্যামসাংয়ের নামে বাজারে নকল মেমরি কার্ড
৩. মোবাইল ফোনের নকল চার্জার চেনার সহজ উপায়