সাতক্ষীরার সংরক্ষিত আসন-৩১২ এর সংসদ সদস্য (এমপি) রিফাত আমিনের ছেলে রাশেদ সরোয়ার রুমনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আলী আহমেদ হাশমির নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা পৌরসভা চত্বরে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জুলফিকার রহমান উজ্জ্বলকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন রুমন এবং তার সহযোগীরা। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে আহত হন উজ্জ্বলের সহযোগী মিলন, কালাম, ফারুক ও সালামসহ কয়েকজন।
এ ঘটনায় পরদিন সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। এই মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক আলী আহমেদ হাশমি জানান, রুমনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা চালালেও সে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। আজ (রোববার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলফিকার রহমান উজ্জ্বলকে লোহার রড দিয়ে মারধরের পর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় একটি মিনি পাজেরো চালিয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন রুমন। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। বিধ্বস্ত অবস্থায় গাড়িটি ফেলে তিনি আরেকটি গাড়ি নিয়ে চলে আসেন শহরতলির মাগুরায় সোনা চোরাকারবারি মিলন পালের বাগানবাড়িতে। এসময় অজ্ঞাত এক নারীকে নিয়ে রাত কাটানোর পর ১২ সেপ্টেম্বর সকালে রুমনের অবস্থান সম্পর্কে জানাজানি হলে গ্রামবাসী তাকে ঘিরে ফেলেন।
এক পর্যায়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান, অ্যাডভোকেট তামিম আহমেদ সোহাগ এবং পৌর যুবলীগ আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন অনু তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হন রুমন এবং সেখান থেকে পালিয়ে যান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, রুমনের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক সেবন ও সরবরাহ, নারী কেলেংকারি, জবর-দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। আজ তাকে একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
# খবরটি সিলেটটুডে.কম থেকে কপি করা হয়েছে।